বকুল ঝরিয়া যায় গো মরিয়া পিছনে কিছু না রাখি’,
সারা যামিনীর সাথী যে প্রদীপ স্তিমিত তাহার আঁখি;
বুক ভরে হাহাকারে,
লুতার লালায় লিপ্ত কুঁড়িটি পাপ্ড়ি মেলিতে নারে।
কিশোর আশার কিশলয় ভেঙে স্মৃতি আজ বাঁধে নীড়,
দুর্ব্বল মনে সংশয় আর দুর্ভাবনার ভিড়;
ব্যসন কলহ, ক্লেশ
ব্যথিছে আজিকে সারা বরষের বিষ-ভরা বিদ্বেষ।
অঞ্জলি করি’ সুন্দরী ঊষা যে সোনা গেছিল ঢালি’
নিশীথের কালো নিকষে কষিতে সকলি কি হ’ল কালি?
জগতের আনাগোনা
সে কি হ’ল শেষে অশ্রুজলের মত আগাগোড়া লোণা?
অতসী-অশোক গাঁথিতে কি হায় গেঁথেছি অপরাজিতা?
প্রাণের স্ফটিক পাত্রে ঢেলেছি মিঠার সঙ্গে তিতা?
বিশ্ব কি বিস্বাদ?
একি ভুল নয়? — এই বিষময় মোহময় অবসাদ?
ঝরা ফুল পাতা মাটি হ’য়ে যায় জাগে তায় অঙ্কুর,
মৃত্যু প্রবল করে উজ্জ্বল জীবনের ক্ষীণ সুর।
ওরে নাই নাই শোক,
ত্যজিছে আবার অনস্ত তার বরষের নির্ম্মোক।
পাতা:ফুলের ফসল.djvu/৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ফুলের ফসল
৫১