পাতা:ফুলের মালা.djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ e ফুলের মালা । রাজরাণীযোগ্য পৃথিবী-বিপ্লবকারী রূপরাশি দেখিতে লাগিলেন। র্তাহার ভাব দেখিয়া একজন দর্শক বলিয়া উঠিল, “ঠাকুর । মুখে কি গণা যায়, হাত দেখুন।” আর একজন বলিল, “গণকঠাকুর কি তেমনিপাত্র হাতে কিছু না পেলে কি হাত দেখবেন!” বালিকা গণকের হস্তে কিঞ্চিৎ অর্থ দিতে গেলেন—তিনি অস্বীকার করিয়া বলিলেন, “ম,তুমি রাজস্থাজেশ্বরী হইবে, তোমার কাছে কিছু নেব না।” একজন অশ্বারোহী এই জনতার নিকট দিয়া ধীরে ধীরে যাইতেছিলেন, বালিকার পার্শ্ববর্তী হইবামাত্র তাহার প্রতি দৃষ্টি পড়ায় সহসা বিক্ষিতনেত্রে সেইখানে অশ্ব থামাইলেন। সুন্দরী র্তাহার সম্পূর্ণ অপরিচিত; সেই নয়নঝলস্তিকারী রূপ তিনি আর কখনও ইতিপূৰ্ব্বে দেখেন নাই। অথচ পূৰ্ব্ব জন্মের বিস্তৃত স্কৃতির মত সে রূপ যেন চেন চেনা বলিয়া মনে হইতে লাগিল । তিনি মুগ্ধ আত্মবিশ্বত হইয়া চিত্রাপিতের ন্যায় তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রছিলেন, জনতা তাহ হইতে দূরে চলিয়া গেল। কি স্মৃতিস্থত্রে কে জানে সেই অপরিচিত সুন্দরীর মুখের দিকে চাহিয়া তিনি আর সমস্ত ভুলিয়া গেলেন,কেবল একটি দুর শৈশব ঘটনা তাহার মনে জাগিয়া উঠিল। বিজন দীধির ধার, নিস্তব্ধ উপবন, তাহার হাতে হাত সংযুক্ত, সিক্ত-এলায়িত-কেশ, আর্দ্র বসন বালিকার দিব্য মূর্তি, আর সহচরীদিগের সোল্লাস হলুদ্ধনি, তাহার মনে পড়িতে লাগিল । সহসা অশ্ব অধীরভাবে গ্রীব। উত্তোলন করিল, রাজকুমারের চমক ভঙ্গ হইল ; লক্ষ্য ভেদ করিবার জন্ত নকীব তীরযোদ্ধাগণকে আহবান করিতেছে শুনিতে পাইলেন। অশ্বারোহী আত্মস্থ হইয়া নিজের মুগ্ধতায় মনে মনে হাসিয়া সেইদিকে অশ্বচালনা করিয়া দিলেন।