পাতা:ফুলের মালা.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ফুলের মালা । শক্তি। না, তাহ বারণ। তুমি এই বেলা যাও, নহিলে সমস্ত গোল হইয়। যাইবে । শক্তি সমস্ত কথাই সত্য বলিলন। শক্তি যে আদর্শ ন্যায়বাদী বা সত্যবাদী এমন কথা আমরা কথন ৪ বলি নাই, এখনো বলিতেছি না; দোষে গুণে সে মানুষ মাত্র। রাজাকে মুক্তি দেওয়াই এখন তাহার অভিপ্রায়, এই উদ্দেশু সিদ্ধির জন্য সে মিথ্যা বলিতে কিছুমাত্র সঙ্কোচ করিল না ! রাজা বুঝিলেন শক্তির জন্য র্তাহার ভাবিবার কিছু নাই, তিনি এখন নির্ভাবনায় অসঙ্কোচে পলায়ন করিতে পারেন। গণেশদেব শক্তিদত্ত বস্ত্র ও শাল হস্তে লইয়া আশার বলে বলী হইয়া উঠিলেন। কারানির্গত না হইয়াই স্বাধীনতার মুখে তাছার হৃদয় পুর্ণ হুইয়া উঠিল । তিনি দেখিলেন, তিনি আর বদ্ধ অসহায় বন্দী নহেন ; তিনি অত্যাচার নিবfরণে সপারগ পুরুষ গণেশদেব। আনন্দস্রোত র্তাহার হৃদয়ে বহিয়া যাইতে লাগিল । কিন্তু তিনি যেন স্বপ্ন দেখিতেছিলেন, স্বপ্নের আনন্দ সহসা জাগ্রতে বিলীন হইল। তিনি মুহূর্বে আত্মস্থ হইয়া বলিলেন, “না, শক্তি, আমি যাইব না—এই লও তোমার বস্ত্র ।” শক্তি আহত আশ্চর্য্য হইয়া বলিল, “কেন ?” গণেশদেব বলিলেন, “তোমার হাত হইতে মুক্তি গ্রহণ করিবার অধিকার আমার নাই ; আমি পলায়ন করিব না।” অটল দৃঢ়স্বরে গণেশদেব এই কথা বলিলেন । শক্তি বুঝিল ইহার অন্তথা করা তাহার অসাধ্য। শক্তির আশাপ্রদীপ্ত মুখমণ্ডল সহসা ভষ্মের মত মলিন হইয় পড়িল ; ভূতলে পতন নিবারণের জন্ত তাঁহাকে দেয়ালের আশ্রয় গ্রহণ করিত্তে হইল ।