$ 89 ফুলের মালা । করে নাই। এই জন্য গোলামআলি গার নিকট সে তাহার একজন অমুচরকে রাখিয়া যায়। তাছার অনুজ্ঞা ছিল, আউরৎ কার! বাহির হইয় আংটি দিলেই ইহার মারফৎ গোলামআলি খী অবিলম্বে তাহ প্রাসাদে পাঠাইবে। অবত সে সময়ের মধ্যে যদি কুতৰ নাফিরিতে পারে। কুতবের মনে ছিল, মুলতানার কারাগার হইতে প্রত্যাবর্তনের পূৰ্ব্বেই সে ফিরিতে পারিলে, তবে কি জানি যদি আধিতে বিলম্বই হয়,~রাজাকে শয়নাগার হইতে তুলিয়া সংবাদ দিতে হইবে, কিছু বিলম্ব হইতেও পারে,-সেইজন্য সকলদিক ভাবিয়া চিন্তিয়াই কুতব এইরূপ বন্দোবস্ত করিয়া গিয়াছিল। আউরৎ যে মুলতান ইহা কুত্ব গোপন রাখিয়াছিল। প্রহরী অঙ্গুরী চাহিলে শক্তি একবার দাড়াইয়। বলিল, “আংটি পাঠাইবার প্রয়োজন নাই।” আসল কথা শক্তির এখন প্রাসাদে যাইবার বা কুন্তবের সহিত সাক্ষাৎ করিবার ইচ্ছা ছিল না। এই বলিয়া শক্তি আবার চলিতে উদ্ধত হইলে প্রহরী গতিরোধ করিয়া বলিল, “লেকেন কুতব সাহেবকা হুকুম অ্যাস হ্যায়।” রাণী গম্ভীর অনুজ্ঞার স্বরে বলিলেন, “পথ ছড়ি—মুলতানার হকুম।" প্রহরী সভয়ে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইল ; শক্তি অবাধে চলিয়া গেলেন। অল্পক্ষণের মধ্যে অন্ধকার-নিবিড়তায় তাহার ক্ষীণছায়া বিলীন হইয়া পড়িল। প্রহরী তখন স্বস্থানে ফিরিয়া আসিয়া তক্তায় বসিয়া চকমকি কিয়া বলিল, “হুম্! মুলতান সাহেব! মাইনে আন্দাজ কিয়াথা গণেশদেবক আউরৎ ! খসমকো ভেট, নেকে আয়া—হামলোগকে বি আলবৎ কুচভেট মিল যাগা। খোদা সব খারাবি কর দিয়া, ধ্যায়সা নসীব ! কুতবসাহেব, তেরাকে
পাতা:ফুলের মালা.djvu/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।