>b" ফুলের মালা । “সরসিজমসুবিদ্ধং শৈবলেনাপিরম্যং মলিনমপি হিমাংশোলক্ষ্ম লক্ষ্মীং তনোতি । ইরমধিক মনোজ্ঞা বন্ধলেনাপি তম্বী কিমিবহি মধুরাণাং মগুনাং আকৃতিনাং ।” সেই রূপমাধুর্য্যে মুগ্ধ হইয়া ক্রমে তাহার সমস্তই ভূল হইয় পড়িতে লাগিল। তাহার মনে হইতে লাগিল,—নদীকূলের এই বনানীতল যেন সরসীতটের সেই উপবন, আর তিনি যেন সেই চতুর্দশবর্ষীয় বালক, শক্তি র্তাহার বালিকা সখী, তাহার রাণী। মোহপরায়ণ হইয়া তিনি যে কখন ধীরে ধীরে শক্তির পার্থে পতিত বৃক্ষের উপর আসিয়া বসিলেন তাহ জানিতেও পারিলেন না। শক্তি যখন তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল “রাজকুমার আগের মত এখনও বাশি বাজাও ?” তখন তাহার চমক ভাঙ্গিল, ধীরে ধীরে একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া তিনি একটু দূরে সরিয়া বসিলেন, কিন্তু একেবারে আর উঠিয়া দাড়ান হইল না। শক্তি আবার বলিল, “রাজকুমার, তোমার বাশি কই ? আগের মত আর বঁাশি বাজাও না ?” রাজকুমার দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “আগের মত ? মাগের দিন কি পরে থাকে ? রাত পোহলেই যে স্বপ্ন ভাঙ্গে " শক্তি । কিন্তু আবার ত রাত আসে ? রাজ। ঠিক পূৰ্ব্বরাত্রের সে স্বপ্নটিত আর সঙ্গে নিয়ে আসে না । রাজকুমারের কথায় শক্তির হৃদয় আনন্দীত হইল। রাধা বিহনেই যে বৃন্দাবন অন্ধকার, শুামের বাঁশরী বন্ধ তাহা বুঝিতে সে ভুল করিল না। কেনই বা করিবে, সে যেমন রাজকুমারের
পাতা:ফুলের মালা.djvu/১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।