ফুলের মালা । ❖ፃ জানিলে কখনই আমি তোমাকে এখানে রাখিতে সম্মত হইতাম না ।”—শক্তির পিতা অল্পদিনের জন্ত যোগিনীয় নিকট কস্তাকে রাখিয়া অন্তত্ব গিয়াছেন । শক্তি প্রশান্ত ভাবে যোগিনীর ভৎসনা বাক্য শুনিল, শুনিয়া আত্মদোষক্ষালনের কিছুমাত্র প্রয়াস না পাইয়া উত্তরে শুধু বলিল, “রাজকুমার আসিয়াছেন।” বেশী কিছু বলিবার অবিস্তকও ছিল না ; তাহীর মন্দিরে ফিরিতে বিলম্ব হুইবার কারণযোগিনী ইহাতে বুঝিলেন। আর কে সে রাজকুমার যাহার সহিত সাক্ষাতে শক্তি বাড়ী আসিতে ভুলিয়া গিয়াছিল, তাহাও অনুমান করিয়া লইলেন। র্তাহার অনুমান সত্য কি না ইহা যাচাই করিবার অভিপ্রায়ে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন “রাজকুমার কে ?” শক্তি। বাল্যসখা গণেশদেব, দিনাজপুরের বর্তমান রাজা । যোগিনী। স্বৰ্য্যদেবের তাহ হইলে মৃত্যু হইয়াছে ” শক্তি সম্মতিস্বচক ঘাড় নাড়িল। যোগিনী অৰ্দ্ধশ্ব টুম্বরে একবার বলিলেন, “ওঁ শান্তি শান্তি!” তাহার পর নিস্তব্ধ ভাব ধারণ করিলেন । শক্তি জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি তাহাকে জানিতেন নাকি ?” কিন্তু যোগিনী তাহার কোনও উত্তর না করিয়া কিছু পরে কহিলেন, “বংসে, তুমি যুবর্তী কন্ঠ, রাজকুমার তোমার "শৈশব-সথা হইলেও র্তাহার সহিত এরূপ একত্রবাস তোমার পক্ষে নিতান্ত অকৰ্ত্তব্য ।” শক্তি । আমরা বিবাহিত । তিনি আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিলেন, “বিবাহিত । কই তোমার পিতার নিকট ত এ কথা কখনও গুনি নাই!” শক্তি। তিনিজানেন না। আমাদের গান্ধৰ্ব্ব বিবাহ হইয়াছিল !
পাতা:ফুলের মালা.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।