ஆ. ফুলের মালা। \'); প্রতিশোধ প্রবৃত্তি নিতান্ত অশোভন, জঘন্ত, বীভৎস্ত । তুমি কি মনে কর তোমারই আকাঙ্ক পুর্ণ করিবার জষ্ঠ, তোমায় অঙ্গুলি তাড়নে চালিত হইবার জন্ত বিশ্বসংসার স্বল্প হইয়াছে ? ভগবানকে তোমার বাধাবিস্ত্রের পথে, কণ্টক পথে চাণক্য নিয়োজিত করিয়া তবে কি তুমি এ পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করিয়াছ ? বংসে, বৃথা রাগ করিতেছ। রাজকুমার বাল্যকালে তোমার সহিত থেলা করিয়াছেন বলিয়া আজ তোমাকে বিবাহ করিতে বাধ্য নহেন ; তোমার আকাঙ্গ পূর্ণ করা তাহার কর্বুবা নহে। তোমার কষ্ট তোমারই কৰ্ম্মফল—তাহাকে দোষ্ঠী করা বৃথা । তুমি চাহিয়া তাহাকে পাইতেছ না বলিয়া মে তাঙ্গর অদ্যায় ভাবিতেছ, প্রতিশোধ আকাঙ্কায় জর্জরিত হইতেছ; কিন্তু ভাবিয়াদেথ ভিক্ষুকের অধিকার কতটুক ? প্রকৃত পক্ষে তিনি তোমার প্রতি কিছুই অন্যায় করেন নাই ; তুমিই র্তাহার প্রতি অন্যায় দাবী করিতেছ! শক্তি উগ্রস্বরে কহিল, “তান্তীয় দাণী ! বিশ্বাসের অধিকার, প্রেমের অধিকার, হৃদয়ের অধিকার, কি সৰ্ব্বোচ্চ অধিকার নহে? ভিক্ষুকও যদি সৰ্ব্বপ্রাণে দাতার করুণার প্রতি নির্ভর করে তবে তাহাকে ফিরান দাতার অকৰ্ত্তব্য । আর তংগত প্রাণ, অনন্তহৃদয়া রমণীকে প্রত্যাখ্যান করিয়া সে অদ্যায় করে নাই ? সংসারের দ্যায়ান্তায় ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম আমি জানি না, কিন্তু হৃদয়ের ধৰ্ম্মে ভগবদ্ধৰ্ম্মে তাহাকে দোষী বলিতেছে। অামি জানি আমার বিশ্বাস ভঙ্গিয়া সৰ্ব্বোচ্চ ধৰ্ম্ম হৃদয়ের ধৰ্ম্ম, সৰ্ব্বোচ্চ কৰ্ত্তব্য হৃদয়ের কৰ্ত্তব্য সে ভঙ্গ করিয়াছে !” যোগিনী। বৎসে, তুমি ভুল করিতেছ। হৃদয়ের ধৰ্ম্ম উচ্চ ধৰ্ম্ম, হৃদয়ের অধিকার উচ্চাধিকার, সন্দেহ নাই। কিন্তু হৃদয়ধৰ্ম্ম
পাতা:ফুলের মালা.djvu/৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।