ফুলের মালা । Ե Ց কিন্তু আপনার আজ্ঞায় আমাকে সে আক্রমণ ত্যাগ করিয়া তৎক্ষণাৎ সসৈন্তে স্নবর্ণগ্রামাভিমুখে যাইতে হইল।” আজিম খার পিতা বৃদ্ধ মন্ত্ৰী কহিলেন, “যুবরাজ সেরিমৃদ্ধিন গায়মুদিনকে বনগ্রামের পথে ঘেরাও করি সেই সময় মারও সৈন্ত চাহিয় পাঠাইলেন কিন্তু—” বাণসাহু বলিলেন, “আমার বিশ্বাস মিথ্যা সংবাদে সেরি মুদ্দিনকে ভ্ৰfস্থ করিয়াছিল ।” মন্ত্রী । মিথ্য নহে প্রচুর সৈন্তাভাবে ধনগ্রামের সমস্ত জলপথ স্থলপথ ভাল করিয়া ঘেরাও করা হয় নাই। একদিন পুৰ্ব্বে আজিম খা সেখানে উপস্থিত হইতে পরিলে নিশ্চয়ই গায় মুদ্দিন গ্রেপ্তার হইতেন । বাদ । আজিম খা, সে ত’ তোমারই দোষ এক দিন পুৰ্ব্বে আসিতে পারিলে যদি আমাদের জয় হইত, তবে তুমি আসিলে না কেন ? আজিম। জাহাপনা, বর্ষায় পুর্ণভাগা নদীর দুৰ্দ্দমা স্রোতে উজান টানিয়া মাসিতে একে বিলম্ব হইল, তাঙ্গর পর কৰ্দ্দমময় পথে শীঘ্ৰ কুচ করিয়া চলা অসম্ভব, তাই যথা সময়ে পৌছিঙ্গে পারিলাম না ! বাদ । ‘পারিলাম না' ! ইতিপূৰ্ব্বে কখনও আমি এরূপ কথা কোন সেনাপতির মুখে শুনি নাই ! তোমাকে সেনাপতির পদে নিযুক্ত করাই আমার অন্যায় হইয়াছে দেখিতেছি ।” সেনাপতি কোন উত্তর করিলেন না, নীরবে ক্রোধ দমন করিয়া বসিয়া রছিলেন । মন্ত্রী বলিলেন “যাহা হইয়া গিয়াছে তাহার জন্ত শোচনা করায় এখন ত’ আর কোন ফল নাই—বৃথা কাল ব্যয় হইতেছে মাত্র। প্রতি মুহুর্তে গায়মুদ্দিন প্রবল হইয়া
পাতা:ফুলের মালা.djvu/৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।