পাতা:ফুলের মালা.djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b, . ফুলের মালা । ঠাকুর তাহার ঠেলায় পড়িতে পড়িতে মাটীতে বঁ হাতের ভর দিয়া বিস্কারিত নেত্রে ক্রুদ্ধস্বরে বলিলেন, “আমি চল্লেম, আমার আর এখানে দেখছি পোষীল না ?” ঠাকুর সারঙ্গট হাতে লইয়া উঠিয়া হন হন করিয়া চলিলেন । সর্দার বলিল “ঠাকুর যেগু না,---স্বপ্নের মানেট বলে যাও।” পরামাণিক ডাকিল—“সড় কিগাছটা ফেলে গেলে, ঠাকুর । যাবে যাও ওটা নিয়ে যাও।” মুনসি বলিল,--“ঠাকুর, পাগড়িটা পড়ে রইল যে ! কেউ যদি মাথাটা লক্ষ্য করে ত অীর আটকাতে পারবে না হে ।” ঠাকুর কাহার ৪ কথা না শুনিয়া গেী হইয়। চলিয়া গেলেন। কিছু দূরে গিয়া ফিরিয়া চাহিলেন-দেখিলেন, তাহদের আর দেখা যাইতেছে না, তিনি তখন একটা দ্বিস্কন্ধ বুক্ষের দুই শাখার মধ্যে বসিয়া আপন মনে সারঙ্গ বা জাইঃ গাহিতে লাগিলেন,-- সখি নব শ্রাবণ মাস ! জলদ ঘনঘটা, দিবসে সাকছটা, ঝুপ ঝুপ ঝরিছে আকাশ ! ঝিমিকি ঝম ঝম, নিমাদ মনোরম, মুহু মুহু দামিনী আভাষ ! পবন বহে মাতি, তুহিন কণাভাতি— দিকে দিকে রজত উচ্ছ্বাস ! উছলে সরোবর, পত্র মরমর, কম্পে থর থর পাস্থ নিরাশ ! যুবতী যুবাজনা পরম প্রীতমনা, দুহু দোহে বাধা ভূজপাশ !