পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o R বংশ-পরিচয় । ( বায়য়ণের Manfred নাটকের ছায়া-অবলম্বনে রচিত নাটক, (৪) পতিদান (নাটক) ও (৫) বীরাঙ্গন-পত্ৰোত্তর কাব্য। এই শেষোক্ত পুস্তকখানিই তাঁহার শ্ৰেষ্ঠ পুস্তক। ইহা কবিবর মাইকেল মধুসূদনের “বীরাঙ্গনা” কাব্যের পত্রসমূহের প্রত্যুত্তর এবং মাইকেল মধুসূদনের অনুকরণে অমিত্ৰাক্ষর ছন্দে লিখিত । ১৩০০ সালে এই গ্ৰন্থ রচিত হইয়াছিল। হেমচন্দ্ৰ-বিরচিত “বীরাঙ্গনা-পত্ৰোত্তর কাব্য” সম্বন্ধে “উল বা বীরনগর’ গ্রন্থে নিম্নলিখিত মন্তব্য প্ৰকটিত হইয়াছে :- “মাইকেলের “বীরাঙ্গনা কাব্য” পাঠ করিয়া উহার নায়িকদিগের পত্রগুলির প্রত্যুত্তর শুনিবার বাসনা হওয়া স্বাভাবিক। হেমচন্দ্ৰেব এই পত্ৰোত্তর সেই অভাবপূরণ করিয়াছে এবং পাঠকগণের কৌতুহলনিবারণে সমর্থ হইয়াছে। এই পয়ারপ্লাবিত দেশের লোকের নিকটে মাইকেল কর্তৃক উদ্ভাবিত সম্পূর্ণ নূতন অমিত্ৰাক্ষর ছন্দ সেকালের লোকের নিকটে প্রথমে আদৃত হয় নাই। তথাপি মাইকেলের ন্যায় প্ৰতিভাশালী ব্যক্তিগণ বহু বাধাবিঘ্ন অতিক্ৰম করিয়া আপনাপন প্ৰতিভাবলে সাহিত্যক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়াছেন। এইসকল প্ৰতিভাশালী ব্যক্তিকে চিরকালই লোকে অনুকরণ করিয়া থাকে। মাইকেলকে অনুকরণ করা অতি কঠিন-ৰ্তাহার কবিত্ব, ভাব, বর্ণনা, রচনা ও অলঙ্কার-প্ৰয়োগ অনুকরণ করা সহজ কথা নহে। মাইকেলের “বীরাঙ্গনা” কাব্যখানি উহার পদবিন্যাসের কৌশল, ভাবের উচ্ছাস ও সুমিষ্ট ভাষার জন্য সাধারণের প্রিয়। হেমচন্দ্রের ‘বীরাঙ্গনা-পত্রোত্তর কাব্যে’র ভাষা, ছন্দ ও পদবিন্যাস মাইকেলের অনুরূপ। ইহার অনেক স্থানের লেখা মাইকেলের লেখা বলিয়া ভ্ৰম হয়। ইহার ভাষা মাৰ্জিত ও সুন্দর। উত্তর রচনা করিতে যে নৈপুণ্য প্ৰকাশ করিতে হয় তাহা অতি কঠিন। কোন কথার কি উত্তর হওয়া উচিত এবং কতগুলি কথা দ্বারা কোন কথার উত্তর লিপিবদ্ধ হইলে শ্রুতিসুখকর হইবে তাহ