পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বজযোগিনীর গুহ-বংশ &es সকলের সুখ-দুঃখের তত্ত্ব লইতেন। তিনি সাধ্যমত সকলের অভাবমোচন করিতেন। সুপ্ৰসিদ্ধ বাগ্মী, কলিকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা ব্যারিষ্টার, কংগ্রেসের উনবিংশ অধিবেশনের সভাপতি স্বগীয় লালমোহন ঘোষ জয়চন্দ্রের জামাতা ছিলেন । জয়চন্দ্রের অনুজ কালীকিশোর বাঙ্গালা ১২২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ষে সময়ে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময়ে ইংরেজী শিক্ষার তেমন প্ৰচলন হয় নাই। কাজেই সেকালের রীতি অনুসারে তিনি পাৰ্শী ভাষা শিক্ষা করেন। তিনি কিছুদিন ময়মনসিংহ দেওয়ানী আদালতের নাজির ছিলেন । কৰ্ম্মসুত্রে তাহাকে বহু লোকের সম্পর্কে আসিতে হইয়াছিল। কিন্তু তাহার স্বভাব এতই মধুর ছিল যে, সকলেই তাহার ব্যবহারে তৃপ্তিলাভ করিত। কালীকিশোর বাবু লক্ষ্মণের ন্যায় পরম ভ্রাতৃভক্ত ছিলেন। তঁহার মত অগ্রজের প্রতি ভক্তিমান ভ্রাতা সচরাচর দৃষ্ট হইত না । অগ্রজের আদেশ তিনি দেবতার আদেশের মত জ্ঞান করিতেন এবং তাহ প্ৰতিপালনের জন্য প্ৰাণপণ করিতেন । কালীকিশোর অসাধারণ পরিশ্রমী এবং মিতব্যয়ী ছিলেন। তাহারই ফলে তঁাহারা প্ৰভূত অর্থ সঞ্চয় করেন এবং তাহাতে বিপুল জমিদারী ক্রয় করা হয়। বিজযোগিনী গ্রামে ইহাদের যে বাস্তুভিটা ছিল, তাহার উপর যে বিরাট প্রাসাদোপম অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে তাহা কালীকিশোরবাবুই করিয়া গিয়াছেন। জ্যেষ্ঠ জয়চন্দ্রের অকাল মৃত্যুর পর কালীকিশোর বাবু জমিদারী রক্ষণাবেক্ষণ ও বিষয়-সম্পত্তিপরিদর্শনের জন্য নাজিরী ত্যাগ করিয়া বাটী চলিয়া আসিতে বাধ্য হন। গবর্ণমেন্ট তাহার কাৰ্য্যকুশলতার পুরস্কারস্বরূপ উক্ত পদ ভঁাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে প্ৰদান করেন। সে যুগে চরিত্র রক্ষা করিয়া চলা বড়ই কঠিন ছিল। কিন্তু শত প্রলোভনের মধ্যেও কালীকিশোর তদীয় চরিত্র অক্ষুন্ন রাখিয়াছিলেন। তখন পানাসক্তিশূন্য ব্যক্তি ভদ্র সমাজেও SS