পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbro বংশ-পরিচয় । এই সময় তাহার মনে কিরূপ ভাবের উদয় হইয়াছিল তাহা বিবৃত করিয়াছিলেন :- 崇 米 崇 来 “তোমারে দেখাই নাথ ! আত্মহত্যা ভয় ! কিন্তু দেব ! তোমার কি করুণ অপার ! জল হোতে পুথিগুলি করিলে উদ্ধার। ইহাতে লোকের মুখ নীরব হইল, তোমার মহিমা দেব ! জগতে ঘোষিল ।” এদিকে রামেশ্বর ভট্ট তুকারামের ভগবদভক্তি দেখিয়া তাহার একজন পরম ভক্ত হইয়া দাড়াইলেন। তিনি একটি কূপে স্নান করিলে তাহার অঙ্গ যেন জ্বলিয়া পুড়িয়া যাইতেছে বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। তিনি জ্ঞানেশ্বর দেবের শরণাপন্ন হওয়ায় জ্ঞানেশ্বরদেব তাহাকে স্বপ্নে জানাইলেন যে, তুকারামের শরণাপন্ন হইলে তিনি তাহার সকল জালা নিবারণ করিবেন। রামেশ্বর তুকারামের নিকট একখানি ক্ষমা-প্রার্থনাসূচক পত্র প্রেরণ করিলেন, তুকারামও তাঁহাকে ক্ষমা করিয়া প্ৰত্যুত্তরে একটি অভঙ্গ রচনা করিয়া পাঠাইলেন। সেই অভঙ্গের মৰ্ম্ম এইরূপ :- ‘অন্তর যাহার হয়। পবিত্রতাময়, শত্ৰু তার মিত্ৰ হয় নাহিক সংশয় ॥” এই সময় হইতে রামেশ্বর ভট্ট সর্বদা তুকারামের নিকট থাকিতেন। এবং তিনি তুকারাম যে সমস্ত অভঙ্গরচনা করিতেন সেগুলি লিখিয়া রাখিতেন। তুকারামের প্রতি রামেশ্বরের কিরূপ প্ৰগাঢ় ভক্তি-ভাবের উদ্ৰেক হইয়াছিল তাহা নিম্নলিখিত অভঙ্গ হইতে জানা যায়। রামেশ্বর এই অভঙ্গ রচনা করেন