পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቅb” 8 বংশ-পরিচয় । বাস্তবিক মহাপুরুষগণের জীবনী আলোচনা করিলে দেখা যায় যে, তঁহারা সকলেই কামজয়ী ছিলেন। কাম লোকের সর্বনাশ সাধন করিয়া থাকে। রক্তের চরম ভাগ শুক্ররূপে পরিণত হয়, এই সারা ভাগ যদি দেহে না থাকে। তবে তাহার দেহ গজভুক্ত কপিখের মত হয়। শুধু তপস্যা করিলেই তপস্বী হওয়া যায় না। যে কামজয়ী, উৰ্দ্ধরেত সেই প্ৰকৃতপক্ষে তপস্বী। এইজন্য শাস্ত্রকারগণ “ন তপস্তপ ইত্যাহুব্রহ্মচৰ্য্যং তপোত্তমং। উৰ্দ্ধরেতা ভবেদ যস্তু স দেবো ন তু মানুষঃ।” অর্থাৎ পণ্ডিতগণ তপস্যাকে তপস্যা বলেন না, ব্ৰহ্মচৰ্য্যই সর্বশ্রেষ্ঠ, তপস্যা । যিনি উৰ্দ্ধারেত, তিনি দেবতা, মানুষ নহেন। যিনি যে পরিমাণে ব্ৰহ্মচারী হইবেন, তাহার সেই পরিমাণে হৃদয় প্ৰফুল্ল, মস্তিষ্ক সবল, শরীর শক্তিমান, মন ও মুখশ্ৰী সুন্দর ও স্নিগ্ধ হইবে। স্ত্রীলোকমাত্ৰকেই মাতৃভাবে দর্শন করা কামদমনের প্রকৃষ্ট উপায়। যত বড়ই সুন্দরী নারী উপস্থিত হউক না কেন, তাহাকে “মা”। বলিতে পারিলে সমস্ত কামভাব মন হইতে দূরীভূত হয়। ‘অমেধ্যপূর্ণে কৃমিজলিসংকুলে স্বাভাবিদুৰ্গন্ধিবিনিন্দিতান্তরে কলেবরে মূত্রপুৱীষ্য ভাবিতে রমন্তি মূঢ়া বিরামন্তি পণ্ডিতা: | -যোগোপনিষৎ । অর্থাৎ অপবিত্রতায় পরিপূর্ণ, কৃমিজালসংকুল, হে স্বভাব দুৰ্গন্ধি মূত্রপুৱীষপূর্ণ এই কলেবরে মূর্থ্যিগণই ভোগের লালসা করিয়া থাকে ; পণ্ডিতগণ তাহা হইতে নিরস্ত হন। ’ ভগবানকে দেখিতে গেলে সর্বাগ্ৰে কাম-দমন আবশ্যক । নারদ যখন তাহার মৃত্যুর পরে ভগবদন্বেষণে গৃহত্যাগ করিয়া বহির্গত হইলেন,