পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ ১৩ বেদন অজীর্ণ বমি কিম্বা অন্নপত্তে। ; তেতুল গুলিয়া খায় পিত্তলের পাত্রে ৷ মহারোগে অঙ্গে মাখে গোময় গোমুত্র। কেহব আরোগ্য পায় প্ৰভু আজ্ঞা মাত্র। রোগ জানাইয়া যায় মানসা করিয়ে। মানসিক টাকা দেয় রোগ মুক্ত হ’য়ে ৷ মানসা করিত লোকে যার যেই শক্তি । একান্ত মনেতে যার সেই রূপ ভক্তি ৷” একদা শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুর ভক্তগণ পরিবৃত হইয়া বসিয়া আছেন। এমন সময় রামধন নামে এক জন্মান্ধ বালক তঁাহার সমীপে উপস্থিত হইল। রামধনের নিবাস গোপালগঞ্জের সন্নিকট বেতগ্রামে ছিল। সে ঠাকুরের রোগ আরোগ্য করিবার অসাধারণ শক্তির কথা শ্রবণ করিয়া ওড়াকান্দী আগমন করে। রামধন ও তঁাহার পিতামাতার ভক্তি এবং বিশ্বাসদেখিয়া শ্ৰীশ্ৰীহরির অন্তরে দয়া হইল। তিনি তঁহার পদ্মহস্ত খানি রামধনের মস্তকে স্থাপন করিলেন, ইহাতে রামধন তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি লাভ কবিল। ভক্তগণ এতাদৃশ ঘটনা দেখিয়া বিস্মিত হইল। রামধন আর গৃহে ফিরিল না। সে ঠাকুর বাটীতে থাকিয়া দুগ্ধবতী গাভীসকল চরাইয়া বেড়াইত এবং গৃহের যাবতীয় কাৰ্য্য করিত। শ্ৰীহারির নিত্যধাম গমনের পর রামধন উদাসীন হইয়া দেশে দেশে পৰ্য্যটন করিত এবং ঠাকুরের মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিত। শ্ৰীহরি ঠাকুর ওড়াকান্দীর দক্ষিণে রাউৎখানার গ্রামে তদীয় ভক্ত মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের বাটীতে প্রায়ই গমন করিতেন। এক দিবস ঠাকুর ঐ বাটীতে বহু ভক্তসহ বসিয়া আছেন। ভক্তেরা কেহ তাহাকে নানাপ্ৰকার পুষ্প দ্বারা সাজাইতেছে, "কেহ পাখা দিয়া ব্যজন করিতেছে, কেহ বা