পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8R qs-Pfab, ভাবে উন্নীত করিতে না পারিলে তঁাহারা কখনও সাত্বিক ভাবাপন্ন হইতে, পরিবে না। ঠাকুর মহাশয় এই বাক্য শিরোধাৰ্য্য করিয়া প্ৰথমে নমঃ শূদ্ৰ জাতিকে আত্মমৰ্য্যাদা শিক্ষা দিতে লাগিলেন । এই উদ্দেশ্যে তিনি জাতির মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য রাশি রাশি অর্থ দান করিয়াছেন । বহু নমঃশূদ্ৰকে তিনি কৃষির সহিত নানাবিধ ব্যবসায় বাণিজ্য শিক্ষা দেন। পূর্বে নমঃশূদ্ৰগণ গ্রাম ছাড়িয়া সহরে যাইতে ভীত হইত। তিনি উহাদিগকে সহরে যাইয়া অর্থে পার্জনের পথ প্ৰদৰ্শন করেন। ইহার ফলে বহু নমঃশূদ্র ব্যবসায় ক্ষেত্রে প্রবেশ কবিয়া নানা প্রকারে ধনোেপার্জন করিতেছে। এজন্য অনেক নমঃ শূদ্ৰ আজকাল বেশ ধন্যবান হইতেছে এবং শিক্ষায় অগ্রসর হইতেছে। পূর্বে নমঃশূদ্র জাতিব মধ্যে শ্ৰাদ্ধ উপলক্ষে খুব বড রকমের খরচ হইত। ইহার ফলে অত্যন্ত্রকাল মধ্যে তাহারা নিঃস্ব হইয়া যাইত। ঠাকুর মহাশয় দেখিলেন এই প্রকার প্রথা জাতির মধ্য হইতে দূব না করিতে পারিলে এজাতি কখনও অর্থের সদ্ব্যয় বুঝিতে পরিবে না এবং বিদ্যাশিক্ষায় মনোনিবেশ করিতে পরিবে না। তিনি বহু ক্লেশ স্বীকার করিয়া এই প্ৰথা দূর কবিতে সমর্থ হইয়াছেন। তিনি লোকদিগকে বুঝাইয়া দিয়াছেন যে মৃতব্যক্তির আত্মার কল্যাণের জন্য অর্থ ঐ প্রকারে ব্যয় না কবিয়া জীবিত সন্তান সন্ততির শিক্ষার জন্য সুবন্দোবস্ত করিলে মানুষের অধিকতর কল্যাণ সাধিত হইয়া থাকে। তিনি ঐ অর্থদ্বারা বহুস্থানে বিদ্যালয় স্থাপন করিয়া জাতির অশেষ কল্যাণ সাধন করিয়াছেন । নমঃপূদ্র জাতি নানা প্ৰকার শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল ; একারণ জাতির মধ্যে কোন একতা ছিল না এবং সর্বপ্ৰকার মহৎ কাৰ্য্যে ইহাদের সমবেত চেষ্টার অভাব দুষ্ট হইত। ঠাকুর মহাশয়ের চেষ্টায় ইহা অনেক পরিমাণে বিদুৱীত হইয়াছে এবং তাঁহার নিজের অক্লান্ত চেষ্টায় বিভিন্ন শ্রেণীর নমঃ শূদ্রদিগের মধ্যে পংক্তি ভোজন ও বিবাহাদি সামাজিক কাৰ্য্য প্ৰচলিত