পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ ¢ሳ শ্ৰীপতি প্ৰসন্ন ঠাকুর ওড়াকান্দী বারুণী স্নান সমিতির • সভাপতি এবং শ্ৰীশ্ৰীহরি গুরুচাঁদ মিশনের জেনারেল সেক্রেটারী। তিনি কিছুকালের জন্য। ওড়াকান্দী স্কুলের সম্পাদক পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ঐ সময়ে স্কুলেব হিসাব নিকাশ সম্বন্ধে অনেক গোলমাল ছিল। তিনি তাহা দূর করেন এবং ঐ সময় হইতে স্কুলেব আর্থিক উন্নতি হইতে থাকে। তিনি দূতকান্দির গিরিশ দাতব্য চিকিৎসালয়ের অন্যতম সভ্য এবং সম্প্রতি লোকাল বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন । তিনি শ্ৰীশ্ৰীহরি গুরুচাদ মিশন পরিচালিত দেবী শান্তি সত্যভামা বালিকা শিক্ষালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং বৰ্ত্তমানে উহাব সম্পাদক । স্ত্রীশিক্ষায় তাহার অত্যন্ত উৎসাহ । র্তাহার চেষ্টায় সম্প্রতি নারীজাতির কল্যাণার্থ একটী সম্মেলনের অধিবেশন হয়। তাহারই উদ্যমে পরলোকগত সম্রাটের বাজত জুবিলী উপলক্ষে ওড়াকানদী গ্রামবাসী মহোৎসবের আয়োজন করিয়াছিল। ওড়াকান্দীতে যখন মহাত্মা গান্ধি আসিবেন বলিয়া স্থির হয় তখন তাহার চেষ্টায় গ্রামে অনেক রাস্তা নিৰ্ম্মিত হয়। মহাত্মার আগমন উপলক্ষে যে অভ্যর্থনা সমিতিব কাৰ্য্যকারী সমিতি গঠিত হয়, তিনি তাহার সভাপতি ছিলেন । তিনি বড় সংসারের কাৰ্য্য পরিচালনে রত থাকিলেও সর্বদা পরিহিত ব্ৰতে ব্ৰতী। দরিদ্র দেশবাসীর কিসে মঙ্গল সাধিত হয়। সর্বদা তিনি তাহা চিন্তা করিয়া থাকেন। গোপালগঞ্জের প্রত্যেক মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেট প্রতিজন হিতকর কাৰ্য্যে তাহার পরামর্শ গ্ৰহণ করেন । স্বৰ্গীয় উপেন্দ্ৰনাথ ও স্বৰ্গীয় সুরেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর গুরুচরণ ঠাকুরের তৃতীয় পুত্ৰ উপেন্দ্ৰ নাথ ঠাকুর ঢাকায় পাঠদ্দশায় ইহলোক ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তঁহার বয়স মাত্র ১৬ বৎসর হইয়াছিল। তিনি অত্যন্ত রূপবান ও সুগায়ক ছিলেন। তাহার অকাল মৃত্যুতে তাহার পিতামাতা শোকে অত্যন্ত অধীর হইয়াছিলেন।