পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় ওড়াকাব্দীর ঠাকুর বংশ। “নীচ হয়ে করিব যে নীচের উদ্ধার। অতি নিয়ে না নামিলে কিসে অবতার ৷ কৃষ্ণ প্ৰেম সুনিৰ্ম্মল উচ্চেতে না রবে। নিম্নখাদে থাকে বারি দেখা মনে ভেবে ৷” শ্ৰীশ্ৰীহরি লীলামৃত। মহাপ্ৰভু শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্য দেবের প্ৰেমবন্যায় যখন নদীয়া প্লাবিত হইতেছিল এবং নবদ্বীপের সমৃদ্ধি সমগ্ৰ ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছিলঃ তখন বিহার প্রদেশ হইতে এক বাৎস্য গোত্রীয় মৈথিলী ব্ৰাহ্মণ সস্ত্রীক তথায় আগমন করিয়া মহাপ্রভুর ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন এবং স্থায়ীভাবে তথায় বসতি করেন। এই রংশের রামদাস নামক এক পরম সাধু বৈষ্ণব ভারতের বহু তীর্থ পৰ্যটন করিয়া সস্ত্রীক পূর্ববঙ্গের চন্দ্রনাথ তীৰ্থ দৰ্শন করিতে আসেন। সে স্থান হইতে ফিরিবার পথে বর্তমান যশোহর জিলার নবগঙ্গা তীরন্থ লক্ষ্মীপাশা গ্রামে আসিয়া উপনীত হন। এই স্থানটী বড়ই মনোরম ও স্বাস্থ্যকর ছিল। এখানে তঁহাদের অনেক শিষ্য জুটিয়া গেল। তাহদের মধ্যে নমঃশূদ্র জাতীয় শিষ্যই অধিক। তাহাদের একান্ত ইচ্ছায়, আগ্রহে এবং ভক্তিতে সাধু রামদাস লক্ষ্মীপাশা গ্রামেই বাস করিতে লাগিলেন। এই সময়ে লোকে ব্ৰাহ্মণকে “ঠাকুর” বলিয়া সম্বোধন করিত। রাম