পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনেলী রাজবংশ বিহারের অন্তর্গত পূৰ্ণিয়া জিলার অধীন বনেলীর রাজবংশ একটী প্রাচীন জমিদার-বংশ । এই বংশের পূর্ব-ইতিহাস তমসাচ্ছন্ন, তজ্জন্য প্লারাবাহিক বিবরণ-প্ৰকাশের লোভ সম্বরণ করা হইল । উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে দুৰ্দ্ধৰ্য পার্বত্য গুখাদিগের অত্যাচার হইতে নেপালের সন্নিকটবৰ্ত্তী উত্তর ভারতের অধিবাসীদিগকে রক্ষা করিবার জন্য ১৮১৫ খ্ৰীষ্টাব্দে লৰ্ড হেষ্টিংস বাহাদুর নেপালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন । সেই সংগ্ৰামে যেসকল ভারতবাসী ব্রিটিশরাজের সাহায্য করিতে অগ্রসর হইয়াছিলেন, তন্মধ্যে নেপালের প্রান্তবৰ্ত্তী পূর্ণিয়া জেলার অধীন বনেলী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা দুলার সিংহের নাম বিশিষ্টভাবে উল্লেখযোগ্য । তঁহার বীরত্ব, রাজভক্তি ও সেবায় সন্তুষ্ট হইয়া কৃতকাৰ্য্যের পুরস্কারস্বরূপ ব্রিটিশ গবৰ্ণমেণ্ট তাহাকে ‘রাজা বাহাদুর” উপাধিতে ভূষিত করিয়াছিলেন। দুলার সিংহের পরলোক-গমনের পর তদীয় পুত্র রাজা বেদনানন্দ সিংহ বাহাদুর পিতৃপদে সমাসীন হন। তিনি খড়গপুরের মুসলমান নরপতিদিগের বিস্তীর্ণ ভূসম্পত্তি হস্তগত করিয়াছিলেন। ১৮৫১ খ্ৰীষ্টাব্দে রাজা বেদনানন্দ সিংহ ইহধাম পরিত্যাগ করেন। অতঃপর তৎপুত্ৰ লীলানন্দ সিংহ বনেলী রাজ্যের সিংহাসন লাভ করেন। তিনি পিতৃপুরুষগণের পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া সাঁওতাল বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশরাজের বিশেষ সহায়তা করিয়া যশস্বী হইয়াছিলেন। তিনি নানাপ্রকার সদগুণসম্পদে বিভূষিত থাকিয়া সকল শ্রেণীর প্রিয়পাত্র ছিলেন । রাজা লীলানন্দ মৃত্যুকালে তিন পুত্র রাখিয়া যান-পদ্মানন্দ, কালানন্দ এবং কীৰ্ত্ত্যানন্দ সিংহ বাহাদুর ।