পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাতোয় রাজবংশ କର (୪ খৃষ্টাব্দে রাজা টোডরমল্ল যখন বঙ্গের রাজপ্ৰতিনিধি। তখন কল্যাণমল জরিপ কাৰ্য্যে রাজা টোডরমল্লকে সহায়তা করায় সম্রাট আকবর তাহাকে “মহারাজা” উপাধি প্ৰদান এবং কল্যাণপুর পরগণা তাহার নামে নামকরণ করেন | ক্ষোমকরণ সাহী তাহার পর সপ্ত। অশীতি সংখ্যক রাজা ক্ষোমকরণ সাহী মহারাজা বাহাদুর ও সাহী এই উভয় উপাধিই প্ৰাপ্ত হন। তিনি কল্যাণপুর হইতে রাজধানী স্থানান্তরিত করিয়া হাসিপুরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। ওযারেণ হেষ্টিংস হাসিপুর রাজধানী ধ্বংস করিয়া দেন । হাসিপুর ধ্বংসের পর এই বংশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়। বড় তরফের বিদ্রোহী মহারাজা ফতে সাহী তামকুহিতে রাজধানী স্থাপন করেন, আর ছোট তরফের বসন্ত সাহীর বংশধর হাতোয়ায় রাজধানী স্থাপন করেন । হাসিপুর দুর্গের ভগ্নাবশেষ এখনও বিদ্যমান রহিয়াছে। মহারাজা ফতে সাহী বসন্ত সাহীিকে হত্যা করেন বলিয়া প্ৰবাদ প্ৰচলিত আছে । যে স্থানে বসন্ত সাহীি হত হন। সেই উদ্যান “মুরকাতিয়া বাগ” নামে এখনও পরিচিত আছে। প্ৰকাশ, ফতে সাহী বসন্ত সাহীকে ইংরাজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করিবার জন্য তঁহার সহিত যোগদান করিতে বলিয়াছিলেন ; কিন্তু বসন্ত সাহী নাকি কোন মতেই রাজশক্র হইতে স্বীকার করেন না। বসন্ত সাহীর পত্নী স্বামীর মুণ্ড ক্রেগড়ে করিয়া চিন্তানলে দেহ ত্যাগ করেন এবং বলিয়া যান, তঁহাদের কোন বংশধর যেন ফতে সাহীির সহিত কোন প্ৰকার সম্বন্ধ না রাখে । এখনও হাতোয়ার মহারাজগণ ফতে সাহীির বংশধরদিগের অধিকৃত স্থান গোরক্ষপুর জেলা দিয়া যাইবার সময় এক বিন্দু জল পৰ্য্যন্ত পান করেন না । ১৭৮৬ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত ফতে সাহী বিদ্রোহুভাবাপন্ন ছিল এবং তাহার ভয়ে