পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R r বংশ-পরিচয় শিক্ষালাভ করিত। মহারাজা তাহাদিগকে আপন রাজকোষ হইতে আহার ও বাসস্থান দিতেন। মহারাজা নিরপেক্ষ শাসক ছিলেন। গণ্ডক ও ঘাঘরা নদীর তীরবর্তী সমস্ত দেশটা তিনি পার্শা-রাজের নিকট হইতে পাইযাছিলেন । মৃত্যুকালে তিনি রাজকোষে ৫০ লক্ষ টাকা রাখিযা → [ মহারাজা রাজেন্দ্ৰপ্ৰতাপ সাহী বাহাদুর মহারাজা ছত্ৰধারীর দুই পুত্র। কুমার রামসহায় সাহী ও পৃথিপাল সাঙ্গী ; ইহার পিতার জীবদ্দশাতেই মারা যান। রামসহায সাহীর দুই পুত্ৰ ;-উগ্ৰপ্ৰতাপ সাহী ও দেবরাজ সাহী। পৃথিরাজ সাহীরও দুই পুত্ৰ , তিলকধারী সাহীি ও বীরপ্ৰতাপ সাহীি । মহারাজা ছত্ৰধারী সাহীর মৃত্যুকালে এই চারি পুত্ৰই জীবিত ছিলেন। উগ্ৰপ্ৰতাপের পুত্ৰ রাজেন্দ্ৰপ্ৰতাপকে মহারাজ অত্যন্ত ভালবাসিতেন । কাজেই মহারাজেব মৃত্যুর পর রাজেন্দ্ৰপ্ৰতাপ সাহী সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন। রাজেন্দ্রপ্ৰতাপ সিংহাসনে আরোহণ করিয়া গবৰ্ণমেণ্টকে বিশেষ সাহায্য করেন । ১৮৬০ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঁহাকে গবৰ্ণমেণ্ট সাহাবাদ জেলার বাজেয়াপ্ত গ্রামসমূহ প্ৰদান করেন। এই গ্রামসমূহের বার্ষিক আয় ২০ হাজার টাকা । ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে মহারাজা হাতোয়া দুর্গে একটী কামান রাখিবার ও গবর্ণমেণ্ট হাউসে প্ৰাইভেটভাবে প্ৰবেশ করিবার অধিকার পান । ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে তিনি ডিউক অব এডিনবরাকে অভ্যর্থনা করিবার সৌভাগ্যলাভ করেন। মহারাজা ছত্ৰধারীর মৃত্যুর পর কুমার পৃথীপাল সাহীর পুত্ৰ তিলকধারী সাহীি ও বীরপ্ৰতাপ সাহী জমিদারীর স্বত্ব পাইবার জন্য নালিশ রুজু করেন; কিন্তু আহার ও বাসস্থানের জন্য কয়েকখানি গ্ৰাম পাওয়ায় তিলকধারী সাহীি মোকদ্দমার প্রত্যাহার করেন । বীরপ্রতাপ প্রিভি কৌন্সিল পৰ্য্যন্ত মোকদ্দমা চালান, প্ৰিভি কৌন্সিলের বিচারকগণ