পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩০

No bro बश्s-•द्विष्भ প্ৰত্যেক ছাত্রের প্রিয়পাত্ৰ হইয়াছিলেন। ডিরোজিও হিন্দুদিগের পৌত্তলিকতার ভ্ৰম দেখাইয়া ও সামাজিক রীতিনীতির দোষ দেখাইয়া ছাত্ৰগণকে হিন্দুধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিতেন। ডিরোজিওর শিক্ষা-প্রভাবে কৃষ্ণমোহন প্ৰভৃতি ছাত্ৰগণ হিন্দুধৰ্ম্মের উপর বিশ্বাস হারান। হিন্দুসমাজে ডিরোজিওর বিরুদ্ধে ঘোরতর আন্দোলন চলিতে লাগিল । ছেলেদের অভিভাবকের হেয়ার সাহেবকে বলিলেন যে, যদি ডিরোজিওকে হিন্দুকলেজ হইতে বহিষ্কৃত করা না হয়, তাছা হইলে তাহারা আর পুল্লাদিগকে উক্ত কলেজে পাঠাইবেন না । তখন বাধ্য হইয়া ডিরোজিও কাৰ্য্য পরিত্যাগ করেন। কিন্তু তাহার প্রভাব হিন্দু যুবকগণের মন হইতে গেল না । ১৮২৯ খৃষ্টাব্দে যুবকেরা Academic Association নামে এক সভা সংস্থাপন করিয়া হিন্দু সমাজের কুসংস্কাররাশি-উৎপাটনে উদ্যোগী হইলেন। তঁহারা প্ৰকাশ্যে বসিয়া গোহাড়, গোমাংস নিক্ষেপ সভ্যতার নিদর্শন বলিয়া মনে করিতে লাগিলেন। একদিন কৃষ্ণমোহনের বাড়ীর নিকটে ইহার এক ব্ৰাহ্মণের বাটীতে গোহাড ও গোমাংস নিক্ষেপ করেন । ব্ৰাহ্মণের আসিয়া কৃষ্ণমোহনের অগ্রজের নিকট কৃষ্ণমোহনের নামে অভিযোগ করেন। কৃষ্ণমোহন বাটীতে আসিলে অগ্ৰজ ভুবনমোহন র্তাহাকে বলেন, “ তোমার জালায় দেখিতেছি, বাড়ী ছাড়িতে হইবে, হয় তুমি বাড়ী ছাড়, না হয়। আমি বাড়ী ছাড়িয়া চলিয়া যাইব ।” কৃষ্ণমোহন জ্যেষ্ঠের আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া অবনতমস্তকে বাড়ী হইতে নিম্ৰান্ত হইলেন । ডফ সাহেব সুযোগ বুকিয়া কৃষ্ণমোহনকে খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কৃষ্ণমোহনও হিন্দু সমাজ ছাড়িবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। হিন্দু সমাজের সকলে হেয়ার সাহেবকে বলিলেন, “কৃষ্ণমোহনকে তোমার স্কুল হইতে না তাড়াইলে আমরা