পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 বংশ-পরিচয় টোল বা চতুষ্পাঠীর প্রতিষ্ঠা করিয়া অধ্যাপনা করিতেন। শিবনাথের প্রপিতামহ রামজয় ন্যায়ালঙ্কারেরও একটি চতুষ্পাঠী ছিল । রামজয় ০.৩ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। র্যাহারা হিন্দুর আচারব্যবহার সম্পূর্ণরূপে মানিয়া, ব্ৰহ্মচৰ্য্য ও সংযম অবলম্বন করিয়া, অখাদ্যকুখাদ্য বর্জন করিয়া সাত্ত্বিকভাবে জীবনযাপন করিতেন, তাহদের পক্ষে এই প্রকার দীর্ঘজীবী হওয়া কিছুই আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। আমাদের দেশের প্রাচীন ও প্ৰাচীনারা এই প্রকার হিন্দুশাস্ত্ৰ-বিহিত জীবনযাপন করিতেন। বলিয়া তাহারা দীর্ঘজীবী হইয়াছিলেন, আর সেই সমস্তের অভাবে আজ ভারতবাসীর সাধারণ আয়ু ২০ বৎসর হইয়া দাডাইয়াছে। ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দে শিবনাথ সংস্কৃত কলেজে ভৰ্ত্তি হন । তখন ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ । বিদ্যাসাগর মহাশয় মুগ্ধবোধ ব্যাকরণের পাঠ উঠাইয়া দিয়া, তৎপরিবর্তে স্বরচিত উপক্ৰমণিকা পড়াইবার ব্যবস্থা করিয়া সংস্কৃত-শিক্ষার পথ সুগম করিয়া দেন । ১৮৩৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ওলাউঠা রোগে শিবনাথের পিতামহ ও পিতামহী এবং প্রপিতামহী মৃত্যুমুখে পতিত হন। শিবনাথের প্রপিতামহ রামজয় ন্যায়ালঙ্কার মহাশয় অধ্যাপক ছিলেন । তাহার উপাৰ্জনেই সংসার চালিত । শিবনাথের মাতামহের নাম হরচন্দ্ৰ ন্যায়রত্ন । শিবনাথের বয়স যখন ৯|১০ বৎসর মাত্র, তখন হরচন্দ্ৰ উরুস্তম্ভরোগে भूङ्गJभूgथ পতিত হন । প্ৰসিদ্ধ দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয় শিবনাথেয় বড় মাতুল । তঁহার এক বাতিক ছিল এই যে, তিনি সর্বদা হুক কলিকা হাতে করিয়া বেড়াইতেন। ১২৫৩ সালের ১৯শে মাঘ ইংরাজী ১৮৪৭ সালের ৩১শে জানুয়ারী রবিবার চিংড়িপোতায় মাতুলালয়ে শিবনাথের জন্ম হয়। ৫ বৎসর বয়স হইলেই মা তঁহাকে গ্রামের একটী পাঠশালায় পড়িতে পাঠান। তাহার মা নিজে লেখাপড়া জানিতেন এবং নিজে পুত্রকে