পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রী Y R * উঠিয়া যায়। ফলে শিবনাথদের বাসা উঠিয়া যায় । তাহার পিতা শিবনাথকে সুকিয়া ষ্ট্রীট বাদুড় বাগানে এক আত্মীয়ের বাসাতে বাখিয়া আসেন। তথায় কিছুদিন বাস করিবার পর পিতা তাহাকে স্বগীয মহেশচন্দ্ৰ চৌধুরীর বাড়ীতে রাখিয়া আসেন। তাহারা শিবনাথকে অতি আপনার লোক মনে করিয়া বিশেষ সমাদর করিতেন। তাহারা এবং তাহাদের বাটীস্থ সকলে, এমন কি, চাকর-বাকরেরা পৰ্য্যন্ত তাহাকে “ভট্টি ভট্টি” বলিয়া ডাকিত। ভবানীপুরে ইহাদের বাটীর নিকট ব্ৰাহ্মসমাজ থাকাতে শিবনাথ প্ৰায়ই তথায় যাইতেন । ১৮৬২ সালে কেশবচন্দ্ৰ সেন তথায় বক্ততা দিতেন। তদ্ভিন্ন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অযোধ্যানাথ পাকডাশী তথায় ব্ৰাহ্মসমাজ ব্ৰহ্ম বিদ্যালয় স্থাপন করিযী উপদেশ দিতেন । তাহদের উপদেশ শুনিয়া ব্ৰাহ্মসমাজের দিকে শিবনাথের মন একটু আকৃষ্ট হয় তিনি তখনও ব্রাহ্মসমাজে মিশেন নাই বটে, কিন্তু উমেশচন্দ্ৰ দত্ত, কাশীনাথ দত্ত, হরনাথ বসু-প্রমুখ ব্ৰাহ্ম যুবকদিগকে প্রগাঢ় শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিতেন । এই সমযে প্যারীচরণ সরকার মহাশয় এডুকেশন গেজেটের সম্পাদক ও সুরাপান-নিবারণী সভার সভাপতি ছিলেন । শিবনাথ এডুকেশন গেজেটে তখন কবিতা লিখিতেন । প্যারীচরণ তখন প্রেসিডেন্সী কলেজের প্রফেসরও ছিলেন । প্যারীচরণ সরকারের সংস্পর্শে আসিয়া সুরাপানের উপর শিবনাথের তীব্র বিদ্বেষ জন্মিল। তদবধি জীবনের শেষ দিন পৰ্য্যন্ত শিবনাথ সুরাপানের বিরুদ্ধে বক্ততা করিয়াছিলেন। তৎপর ১৮৬৫ কি ১৮৬৬ সালে শিবনাথকে তাহার পিতা শিবনাথের শ্বশুরকুলের সহিত ঝগড়া করিয়া বৰ্দ্ধমান জেলার দেহুর গ্রামের অভয়চরণ চক্ৰবৰ্ত্তীর কন্যা বিরাজমোহিনীর সহিত বিবাহ দেন । শিবনাথ এই বিবাহে নিরতিশয় দুঃখিত হইলেন। একটা নিরপরাধা • বালিকাকে অন্যায় রূপে গুরুতর সাজা দেওয়া হইল এবং শিবনাথ