পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রী 8S কর্ণওয়ালিস স্ত্রীটে একখণ্ড জমি সংগ্ৰহ করা হয় ! প্ৰত্যেক ব্ৰাহ্ম এক মাসের আয় মন্দিরনিৰ্ম্মাণকাৰ্য্যে দিয়া মন্দিরটি নিম্মাণ করেন। অতঃপর শিবনাথের অনুরোধে আনন্দমোহন বসু সিটি স্কুল নামক উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করিলেন । শিবনাথ উক্ত স্কুলের সেক্রেটারী হইলেন । সুরেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলে পাড়াইতে লাগিলেন । সিটি স্কুল বেশ জমিয়া উঠিলে শিবনাথ আনন্দমাহনের সহিত পরামর্শ করিয়া ‘ছাত্ৰ-সমাজে’র প্রতিষ্ঠা করিলেন। স্কুল-কলেজে যে ধৰ্ম্মহীন শিক্ষা দেওয়া হয় সেই অভাব-পূরণের জন্য ছাত্রসমাজ স্থাপিত হয় । এই সময়ে শিবনাথ আবার উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে, পাঞ্জাব, সিন্ধু, বোম্বাই, গুজরাট ও মাদ্রাজে প্রচারার্থ যান । যাইবার সময় মাত্র ৮২টি টাকা সম্বল করিয়া বাহির হন । তিনি সিন্ধু, বোম্বাই প্ৰভৃতি নানাস্থানে ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়া কলিকাতায় প্রত্যাগমন করেন । কলিকাতায় প্ৰত্যাগমন করিলে শিবনাথকে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিক ও এফ-এ পরীক্ষার সংস্কৃতের পরীক্ষক নিযুক্ত করা। হয়। প্ৰথম প্ৰথম পরীক্ষকের পারিশ্রমিক ৫।৬ শত টাকা পাইতেন, ক্ৰমে তাহা কম হুইয়া আসে । পুস্তকাদির বিক্রয়েও শিবনাথ কয়েক হাজার টাকা পাইয়াছিলেন, কিন্তু তিনি জীবনে কিছুই সঞ্চিত রাখেন নাই। তঁহাকে সঞ্চয় করিতে বলিলে তিনি বলিতেন, “যদি টাকা সঞ্চয়ই করি , তবে বিষয়ের পথ ছাড়িয়া এই ধৰ্ম্মপ্রচারের পথে আসিলাম কেন ?” তিনি সমাজের সেবা করিয়া যাহা পাইতেন তাহা হইতে র্তাহার সংসারযাত্র নির্বাহ হুইত না, কাজেই পরীক্ষক ও গ্রন্থকারা-হিসাবে তিনি যাহা কিছু উপাৰ্জন করিয়াছিলেন তৎসমস্তই ব্যয় করিয়াছিলেন। শিবনাথের মজিলপুরন্থ ভদ্রাসনে পর্ণকুটীর ছিল, তিনি তাহ পাকা করিয়া দেন। পিতার আমলের যে সমস্ত ঋণ ছিল সে সমস্তও পরিশোধ করেন । তাহা ছাড়া স্বোপার্জিত অর্থের দ্বারা