পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 88 বংশ-পরিচয় প্রেসের যাবতীয় কাৰ্য্য শিবনাথকেই এক রূপ করিতে হইত-তিনি মায় হরপ জোগাড় হইতে মুদ্রাকর পর্য্যস্ত স্থির করিতেন । ১৮৮৪ সালের প্রথম ভাগে কেশবচন্দ্ৰ সেন স্বৰ্গারোহণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তঁহার বহুমুত্র রোগ হইয়াছিল। এই রোগ সত্ত্বেও তিনি নববিধানের প্রতিষ্ঠা করিয়া, সেজন্য গুরুতর পরিশ্রম করিয়াছিলেন। ১৮৮৪ সালের ৮ই জানুয়ারী প্ৰাতে কেশবচন্দ্ৰ দেহত্যাগ করিলে র্যাহার নগ্নপদে সেই শবদেহের অনুগামী হই যাছিলেন শিবনাথ তঁহাদেবী অন্যতম । কেশবচন্দ্রের মৃত্যুতে শিবনাথ বালকের ন্যায় রোদন করিয ছিলেন । ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে শিবনাথ ইংলণ্ড যাত্রা করেন । ১৮৮১ খ্ৰীষ্টাব্দ হইতে ১৮৮৮ খ্ৰীষ্টাব্দ পয্যন্ত শিবনাথের জীবনে বিশেষ কিছু ঘটনা ঘটে নাই। তবে এই সমযের মধ্যে শিবনাথ, নবদ্বীপচন্দ্ৰ দাস, রামকুমার বিদ্যারত্ন ও শশিভূষণ বসু কাসিযঙ্গে গিয়া একটি বাউী ভাডা লইয়া নিশ্চিন্তু মনে ভগবানের চিন্তা, ধ্যান ও উপাসনা করিতে লাগিলেন একমাস কাল তাহারা তথায় থাকিয়া উপাসনা করিয়াছিলেন । সেই সমযে শিবনাথ তাহার “হিমাদ্রি-কুসুম” নামক কবিতা-গ্ৰন্থ লেখেন , উহা বদ্ধিতাকারে মুদ্রিত ও প্ৰকাশিত হয় । অতঃপর কলিকাতায্য ফিরিয়া শিবনাথ আসাম প্রদেশে ধুবড়ী, গোয়ালপাডা, গৌহাটি, তেজপুর, নওগ, শিবসাগর, ডিব্ৰুগড ও শিল* প্ৰভৃতি স্থানে গমন করেন । তথা হইতে ফিরিয়া আসিয়া ১৮৮৭ খৃষ্টাব্দে শিবনাথ তারযোগে সংবাদ পান যে, কাশীধামে তাহার পিতাঠাকুর ওলাউঠা রোগে আক্রান্ত । তার পাইবামাত্র তৎক্ষণাৎ শিবনাথ কাশীধানে রওনা হইলেন এবং তৎপরদিন পিতার রোগশয্যা-পাশ্বে উপস্থিত হইলেন। কিন্তু তাহার পিতা তাহাকে দেখিয়া মুখ ফিরাইলেন, শিবনাথ একাদিতে কঁাদিতে পাশ্ববৰ্ত্তী গৃহে আসিয়া বিরাজমোহিনীকে বলিবেন, “বাবা যদি এ সমযও আমার সহিত কথা না বলিলেন, তাহা হইলে