পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রী S 8 ( ডাক্তারকে কি করিয়া রোগের বিবরণ বলিব ?” বিরাজমোহিনীর মুখে এই কথা শুনিয়া তাহার পিতা সুদীর্ঘ আঠার বৎসর পরে শিব নাথের দিকে মুখ ফিরাইলেন এবং কথা বলিলেন। সে যাত্ৰা শিবনাথের পিতা আরোগ্যলাভ করেন । ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে শিবনাথ, দুৰ্গামোহন দাস ও পাৰ্ব্বতীচরণ ইংলণ্ড যাত্ৰা করেন। লণ্ডনে পৌছিয়া উত্তর লণ্ডনে এক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ইংরাজ পরিবারে রাসা করিতে লাগিলেন। ইংলণ্ডের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পারিবারিক জীবন সম্বন্ধে শাস্ত্রী মহাশয় তাহার আত্মচরিতে লিখিয়াছেন“মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নারীগণ স্বাধীনভাবে সকল স্থানে, সকল আলোচনাতে, সকল কাজে যোগ দেন, তাহাতে যেন কাহারও মনে না হয় যে, তাহাদের মধে, সামাজিক শাসন নাই । এমন কঠিন সামাজিক শাসন অল্পই দেখা যায় । আমি র্যাদের বাড়ীতে থাকি,তাম, সে বাড়ীতে দেখিযাছি, যদি কোনও দিন বাইরের দরজার একটা চাবি সঙ্গে লইয়া যাইতে ভুলিতাম এবং ফিরিতে অনেক রাত্ৰি হইত, তখন দেখিতাম দ্বারে আসিয়া আঘাত করিলেই সিড়িতে উপর হইতে নামিবার খট খটু শব্দ শোনা গেল। একটি মেয়ে আসিয়া দ্বার খুলিলেন, কিন্তু আমি খটু করিয়া দ্বার খুলিতে না খুলিতে তিনি অন্তৰ্দ্ধান। ছয় সাত মাস পৰ্য্যন্ত তঁহাদের বাড়ীতে ছিলাম, মেয়েরা কোন ঘরে ঘুমাইত তাহা জানিতাম না । সে দেশে মেয়েদের শয়ন-ঘরে পুরুষের প্রবেশের ন্যায় নিন্দনীয় কাজ আর কিছুই নাই। সেখানে মেয়েপুরুষে বৈঠক ঘরে একত্র বসা, মেশা, রাস্তাঘাটে একত্র বেড়ান নিষিদ্ধ নয় ; কিন্তু আদবকায়দার এত বাধার্বাধি যে তার একটু লঙ্ঘন করিলেই বন্ধুতার বিচ্ছেদ ঘটে । এইরূপ আদব-কায়দার অনেক বাধন আছে, স্বাধীনতার সঙ্গে শাসনও আছে । শিবনাথ ছয়মাসকাল ইংলণ্ডে ছিলেন । এই ছয়মাসে তিনি o 0