পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঢাকা-ভাগ্যকুলের জমিদার GS দান করিয়াছেন । মুন্সীগঞ্জের বালিকা বিদ্যালয় তাহারই প্ৰতিষ্ঠিত। এই বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য তিনি ২২ হাজার টাকা দান করিয়াছিলেন । ঢাকা জগন্নাথ কলেজ লাইব্রেরীর জন্য তিনি ৪৫.০০২ টাকা দান করিয়াছিলেন । দেশের আরও অনেক স্কুল-কলেজে তিনি মুক্তহস্তে সাহায্য করিয়াছেন, তন্মধ্যে ময়মনসিংহের বাজিতপুর হাইস্কুলের বাটী তৈয়ারী করিবার জন্য তাহার দান অন্যতম । মুন্সীগঞ্জে হরেন্দ্ৰলাল লাইব্রেরী নামে লাইব্রেরী ও সাধারণ পাঠাগার তঁাহার দানের অন্যতম নিদর্শন। কলিকাতা ৫৩|এ শোভাবাজার স্ট্রীটে যে সরোজেন্দ্ৰ স্মৃতিলাইব্রেরী ও সাধারণ পাঠাগার আছে রায় হরেন্দ্রলাল রায় বাহাদুর তাহাতে সাহায্য করিয়া থাকেন। দেশে শিক্ষা-বিস্তারই তাহার জীবনের লক্ষ্য । তিনি অনেক ছাত্রকে বৃত্তি, পদক ও পারিতোষিক দিব্য থাকেন । মুন্সীগঞ্জকে তিনি অতিশয় ভালবাসিতেন । তথায় পাবলিক লাইব্রেরী ও সাধারণ পাঠাগার আছে। তন্ত্ৰত্য হাসপাতাল তঁহার বদ্যান্যতার অন্যতম উদাহরণ । মুন্সীগঞ্জের “রোণান্ডসে পার্ক”। তঁহারই চেষ্টায় নিৰ্ম্মিত হয় । মুন্সীগঞ্জের বালিকাবিদ্যালয় তাহার স্ত্রীশিক্ষাবিস্তারের দানশীলতার পরিচায়ক । দেশের দুঃস্থদের সুচিকিৎসার জন্যও তিনি সর্বদা তৎপর। ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালের সংলগ্ন “র্যাঙ্কিন আউট-ডোর ওয়ার্ড” তাহারই সাহায্যে প্রতিষ্ঠিত । এই ওয়ার্ডের জন্য তাহার ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হইয়াছিল। ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালের জন্য তিনি ৪ হাজার টাকা চাদ দিয়াছিলেন । এই হাসপাতালের তিনি আজীবন সদস্য। মুন্সীগঞ্জ দাতব্য চিকিৎসালয়ের অট্টালিকা-নিৰ্ম্মাণ-তহবিলে ১ হাজার টাকা দান করিয়াছিলেন। ভাগ্যকুল দাতব্য ঔষধালয়ের জন্যও তিনি একহাজার টাকা দান করিয়াছিলেন । শিলংয়ের