পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Clar ংশ-পরিচয় এই বংশের উদ্ধতন পুরুষের মধ্যে জানকীনাথ রেশমের ব্যবসা দ্বারা অর্থ উপায় করিতে লাগিলেন এবং তিনি স্বীয় বুদ্ধিবলে বুঝিতে পারিলেন যে, ভাগ্যলক্ষ্মী আমাদের প্রতি সুপ্ৰসন্ন হইয়াছেন। ইহা বুঝিয়া তিনি একমাত্র মেধাবী পুত্ৰ ভগীরথকে তাহার কাৰ্য্যের সাহায্য ও রেশমব্যবসা বিষয়ে পারদর্শিতা লাভের জন্য লিপ্ত করিলেন । পিতা পুত্ৰ উভয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম, চেষ্টা-যত্ন ও সাহসিকতার দ্বারা প্ৰভূত ধন সঞ্চয় করিয়াছিলেন। পরে দসু্যািভয়ে অতিশয় ভীত ও কাতর হইয়া তথায় আর বসতি করা উচিত নয় বিবেচনা করিয়া তাহারা গোপনে তাহাদের অর্জিত ধনাদি লইয়া ব্ৰাহ্মণীনদীর তীরবত্তী বরলা গ্রামে ভাগিনেয়ের নিকট আসিয়া বাস করেন। ইহার কিছুদিন পরে জানকীনাথের অক্লান্ত পরিশ্রম-জনিত কষ্টে স্বাস্থ্যভঙ্গ হয় এবং এতৎসঙ্গেই তঁহাকে মানবলীলা সংবরণ করিতে হয় । ভগীরথীবাবু পিতৃশোকে অতিশয় অধীর হইয়া পড়াতেও তাহার অসাধারণ বুদ্ধিবল তাহাকে ত্যাগ করিতে পারে নাই। তিনি একাকীই তঁহার জীবিতাবস্থায় সামান্যমত ভূসম্পত্তি খরিদ করেন এবং নানারূপ ব্যবসায়ে বিশেষরূপ উন্নতি করতঃ মৃত্যুকালে বৈষ্ণবচরণ, ঘোষালচন্দ্ৰ, মনসুখ নামে তিন পুত্র রাখিয়া ৪৮ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন। শাস্ত্রানুযায়ী পৈতৃক ধন-সম্পত্তি বণ্টন করিয়া লইবার পর সৌভাগ্য-লক্ষ্মী কাহার অঙ্কশায়িনী হন তাহা বুঝা যায় না। কেহ বা কাৰ্য্যদোষে দরিদ্রতা প্ৰাপ্ত হয় । কেহ বা নিজের প্রতিভা-গুণে কাৰ্য্যের দ্বারা উন্নতি সাধন করে। বৈষ্ণবচরণ ঈশ্বরদত্ত নানা রকম প্ৰতিভা-বলে ব্যবসা দ্বারা ক্ৰমশঃ উন্নতির সোপানে আরোহণ করিতে লাগিলেন। উন্নতিকালের প্রথমেই তিনি বুজুং গ্রামে অভীষ্টদেব ঠাকুরের বাটীতে দেবমন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া রসিক নাগর ঠাকুর ও শ্ৰীধর শালগ্ৰাম ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করান এবং তথায় নাগর নামে বৃহৎ একটী পুষ্করিণী