পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ জলধর মণ্ডল, এল-এম-এস্ ভক্তিবিনোদ চব্বিশ পরগণার অন্তগত বসিরহাট মহকুমায আড়বালিয়া একটা প্ৰসিদ্ধ স্থান ! এই গ্রামে বাঙ্গাল - ১৮১ সালের ফাস্তুনমাসে স্বগীয ডাক্তার জলধর মা গুল জন্মগ্রহণ করেন । তাহার পিতার নাম প্ৰাণনাথ মণ্ডল। যখন জলধারাবাবু জন্মগ্রহণ করেন তখন ভাগ্যবিপৰ্য্যয়ে স্বগীয প্ৰাণনাথ মণ্ডল মহাশয্যের অবস্থা অতীব শোচনীয ছিল । তাই শৈশবের কয়েক বৎসর ব্যতীত তিনি তাহার জন্মভূমিতে অবস্থান করিতে পারেন নাই । ধান্যকুডিযাতেই তঁহার জীবনের অধিকাংশ ভাগ অতিবাহিত হইয়াছিল এবং পরে গুহাদি নিম্মাণ করি যা এইখানেরই স্থায়ী অধিবাসী হইয়াছিলেন । জলধারাবাব নিরতিশয় দারিদ্র্যের মধ্যে জন্মগ্রহণ করিযাছিলেন । দৈন্য এবং অভাব তাহার অগ্ৰগতিকে প্ৰতিহত করিতে চেষ্টা করিয়াছিল বটে। কিন্তু তিনি ভাগ্যের সহিত প্রবল যুদ্ধ করিয়া অনন্যসাধারণ অধ্যবসাব্য ও পরিশ্রমের গুণে এবং অদ্ভুত মনীষাবলে জীবনে এত উন্নতি লাভ করিয়াছিলেন। শৈশব হইতেই তাহার অসামান্য প্ৰতিভার পরিচয পাওযা গিয়াছিল । তাই পাশ্বাস্থ গ্ৰাম নদীয়ারি ৬/গণেশচন্দ্ৰ মণ্ডল, ৬/ দুর্গাচরণ মণ্ডল, ধান্যকুডিয়ার প্রসিদ্ধ দানবীর ৬/শ্যামাচরণ বল্লভ ও ৬৮ রায় উপেন্দ্ৰনাথ সাউ বাহাদুর প্রভৃতি সদাশয় ব্যক্তিগণ স্বতঃপ্ৰবৃত্ত হইয় তাহাকে যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন এবং তঁহাদেরই সাহায্যেই তাহার উচ্চশিক্ষা সম্ভব হইয়াছিল । যতদিন তিনি বাচিয়াছিলেন। ততদিন কৃতজ্ঞতার সহিত হাঁহাদিগের পরম উপকার স্মরণ করিতেন। শৈশব