পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NAMN বংশ-পরিচয় করেন । তিনি যে মন্দির। নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, তাহাতে অনেক কারুকাৰ্য্য ছিল তাহ ১৮৯০ কি ১৮৯১ সালে ভূমিসাৎ হইয়া যায়। শিবলিঙ্গটাও ভগ্ন হয়। পরে ১৯০৩ সালে ৬/গোপালচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় যে ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহ নিৰ্ম্মাণ করেন, তাহাতে দেবী এক্ষণে বিরাজমান। একটী নুতন শিবলিঙ্গও তথায় স্থাপন করা হইয়াছে। কানুরামের লিখিত বহু পুথি ছিল, সে সমস্তই নষ্ট হইয়া গিয়াছে। তঁহার শিষ্যগণ কয়েক বিঘা নিষ্কর ভূমি দান করিয়াছিলেন, তাহার আয়ে দেবসেবার कोथीनिर्दाङ् झ्छेऊ । সদাশিব ব্ৰহ্মচারী পিতার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিয়া তন্ত্রশাস্ত্রের আলোচনায় এবং যোগসাধনে কালান্তিপাত করিতেন । তন্ত্রশস্ত্ৰে তাহার প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য ছিল। তিনি বিবাহের পরই গৃহত্যাগ করিয়া ৮১০ বৎসর ভারতবর্ষের বহু তীর্থে পরিভ্রমণ করেন, এবং ১৭৩৯ খৃষ্টাব্দে গৃহে প্ৰত্যাবর্তন করেন। তিনি গৃহী এবং ব্ৰহ্মচারী উভয়ই ছিলেন, কিন্তু সর্বদা সাধনাতেই অধিক সময় নিয়োগ করিতেন । পুরাতন কাগজপত্র হইতে অবগত হওয়া যায় যে, ভুরশুট পরগণার অন্তৰ্গত চাকদগ্রামের ৬% ভুবনেশ্বরী দেবীরও তিনি সেবাইত ছিলেন। ঐ দেবীর সম্পত্তির কি অবস্থা ঘাঁটিয়াছে আমরা অবগত নাহি। বোধ হয়, রামসুন্দর বিদ্যাভূষণ সেবাইৎ-কাৰ্য্য পরিত্যাগ করেন। সদাশিবের লিখিত বহু পুথি ছিল, তাহাও কীটদষ্ট হইয়াছে। রামসুন্দর বিদ্যাভূষণও এই বংশের উজ্জ্বল রত্ন। তিনি উচ্চাদরের সাধক ছিলেন বোধ হয় না। তিনি বেদান্ত, দর্শন, ন্যায়, সাহিত্য, ব্যাকরণ, স্মৃতি, জ্যোতিষ প্ৰভৃতি সকল শাস্ত্ৰেই বুৎপন্ন ছিলেন, এই সকল শাস্ত্রের আলোচনাতেই ব্যাপৃত থাকিতেন। তঁহার লিখিত প্ৰায় ৫০০ শত পুথি ছিল ; একখানি রামায়ণ ভিন্ন অন্য কোন পুথি ক্ষণে নাই ।