পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাদেবপুর ছোট তরফ (রায়চৌধুরী) জমিদার-বংশ ১৯৭ এই বংশে রায়চৌধুৰী খেতাব চলিয়া আসিতেছে। নয়ানটা দেয় পর পঞ্চম পুরুষ পৰ্যন্ত অর্থাৎ দেবীবর রায়ের আমল পৰ্য্যন্ত জমিদারী অবিভক্ত অবস্থায় ছিল এবং তজ্জন্য সালিয়ান ৬৪,২৪৯২ টাকা সরকারে কর দিতে হইত। দেবীদ্বরের দুই পুত্র ছিল, রামভদ্র রায় ও রামেশ্বর রায়। ইহাদের সময় জমিদারীর পরিচালনায় গণ্ডগোল হইতে লাগিল। রাজস্ব আদায় করিতে না পারিয়া রামভদ্র রায় বিরক্ত হঠয়া জমিদারীর ংশ ত্যাগ করিলেন । অতঃপর রামেশ্বর রায় সমগ্র জমিদারীর মালিক হইলেন। রামভদ্র রায়ের বংশ এখনও বেঘোরায় বাস করিতেছেন। ঐ অঞ্চলে এই শাখার বেশ প্ৰতিপত্তি আছে। উল্লিখিত রামেশ্বর চৌধুরীর মৃত্যু হইলে তাহার তিন পুত্ৰ তুল্যাংশে জমিদারী প্ৰাপ্ত হয়েন। এই তিন পুত্রের নাম গোবিন্দ, রুদ্রব্রাম ও বীরেশ্বর । বঙ্গাব্দ ১১৭৩ অব্দে যখন রেজা খা বাঙ্গলার নায়েব দেওয়ান ছিলেন, সেই সময় সমগ্র জমিদারীর ভার বীরেশ্বরের উপর অৰ্পিত হয় এবং বীরেশ্বরের অপর ভ্রাতারা স্বত্বচুত হয়েন। বীরেশ্বরের চারি পুত্র ছিল-কাশীনাথ, বিশ্বনাথ, লক্ষ্মীকান্ত ও গৌরীকান্ত।। ১১৭৬ বঙ্গাব্দে বীরেশ্বরের মৃত্যু হইলে কাশীনাথ, বিশ্বনাথ, গৌরীকান্তের বিধবা পত্নী যজ্ঞেশ্বরী ও লক্ষ্মীকান্তের বিধবা পত্নী লক্ষ্মীশ্বরী সমগ্র জমিদারী তুল্য চারি অংশে ভোগ করিতে থাকেন। পূর্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে, গোবিন্দ ও রুদ্র রাম সম্পত্তিচু্যুত হয়েন। এই সময়ে তাহাদিগের উত্তরাধিকারিগণের জন্য জমিদারী হইতে মাসোহরা বন্দোবস্ত হইল। তৎপরে এই মাসোহার কায়েমী হইয়া “ষায় এবং জমিদারীর রাজশ্বের সহিত গণ্য হয়। এক্ষণে ইহার রাজসাহী কালেক্টরী হইতে ২,৮৪৪১৫ টাকা স্থায়ী মালিকানা-হিসাবে প্ৰাপ্ত হইতেছেন। বাঙ্গালায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্ৰবৰ্ত্তিত হইলে সমগ্র জমিদারীটি চারি