পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R o R ংশ-পরিচয় নহে, কিন্তু নারায়ণচন্দ্রের সরল অন্তঃকরণ ও অমায়িক ব্যবহার বোধ হয় অভিজাত সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদৃশ সুলভ নহে। কি ইতার, কি ভদ্র নারায়ণচন্দ্রের সংস্পর্শে যিনি আসিবেন তঁহাকেই শ্ৰীতি অনুভব করিতে হইবে। অল্পকাল মধ্যেই তিনি সদনুষ্ঠান দ্বারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছেন । বাঙ্গালা সরকার তাহাকে দরবারে ও লেভীতে উপস্থিত হইবার অনুমতি দিয়াছেন । যুবরাজ প্ৰিন্স অব ওয়েলসের ভারত-আগমনোপলক্ষে বাঙ্গালায় যে লেভী দরবার বসিয়াছিল নারায়ণচন্দ্ৰ তাহাতে নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন । গত ১৯২৯ খৃঃ অঃ নববর্ষের উপাধি-বিতরণ সময়ে তিনি “রায় বাহাদুর” উপাধি লাভ করিয়াছেন । নারায়ণচন্দ্র নওগাঁ লোক্যাল বোর্ড ও রাজসাহী জেলা বোডের নির্বাচিত সদস্য । নারায়ণচন্দ্ৰ নওগাঁও লোকাল বোর্ডের অন্যতম মনোনীত সদস্য । সদনুষ্ঠান ও দান জানকীনাথ রায়চৌধুরীর জ্যেষ্ঠপুত্র দুর্গানাথ। দুর্গানাথের পুত্ৰ রামগোপাল মহাদেবপুরে একটি মধ্য ইংরাজী স্কুল স্থাপন করেন। নারায়ণচন্দ্র গত ১৯২১ খৃষ্টাব্দে স্বীয় ব্যয়ে ঐ স্কুলটিকে উচ্চ ইংরাজী স্কুলে উন্নীত করেন এবং তদীয় মাতা সর্বমঙ্গলা দেবীর নামে ইহার নামকরণ হয়। রামগোপালের অন্যতম পুত্র ক্ষিতীশচন্দ্ৰ ঐ গ্রামে একটী বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছেন । নারায়ণচন্দ্রের পিতামহ শুষ্ঠামানাথ স্বগ্রামে একটী দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করিয়া যায়েন । নারায়ণচন্দ্রের উদ্যমে ও অর্থব্যয়ে এই চিকিৎসালয়ের ইষ্টক-ভিত্তি স্থাপিত হইয়াছে এবং নারায়ণচন্দ্রের চেষ্টায় গ্রামে একটি টেলিগ্ৰাফ অফিসও বসিয়াছে। বৰ্ত্তমানে গ্রামের অনেক উন্নতিবিধান হইয়াছে। এই চিকিৎসালয়ে এক্ষণে একজন এম-বি। পাশ ডাক্তার কাৰ্য্য করিতেছেন । শু্যামানাথের