পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

令 o ংশ-পরিচয় তথায় সম্পাদিত হইত। একটি পাঠাগার ( Library ) এই সময়ে স্থাপিত হইয়াছিল; উহাতে বহু ইংরেজী ও বাঙ্গালা পুস্তক সংগৃহীত হইয়াছিল। গোলাপবাগে একটি সুন্দর উদ্যান রচিত হয় এবং তথায় নানা প্ৰকার ফলের গাছ রোপিত হয় ও শাক-সজীর চাষ হইতে থাকে । মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰ তাহার পূর্বপুরুষগণের সময়ে প্রচলিত পুরাতন ধরণের শাসন-পদ্ধতির স্থলে আধুনিক শাসন-পদ্ধতির মূল পত্তন করেন এবং এই বেদীর উপরেই তঁহার পুত্ৰ শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব পূর্ণভাবে আধুনিক শাসন-ব্যবস্থার সৌধ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব জন্ম ও শৈশব শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব ১৮৭১ খৃষ্টাব্দের ১৭ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন । তিনি জন্মগ্রহণ করিলে তদীয় পিতৃদেব মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতগণকে ও দরিদ্রদিগকে অর্থদান করিয়াছিলেন । এই উপলক্ষে তিনি কোনও কোনও ব্যক্তিকে ভূমি দান পৰ্য্যন্ত করিয়াছিলেন । সুতরাং শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভূমিষ্ঠ হইয়া বহু লোকের শুভেচ্ছা ও ঈশ্বরের আশীৰ্ব্বাদ লাভ করেন । পঞ্চম বর্ষ বয়সে তিনি জনৈক উড়িয়া পণ্ডিতের নিকট বর্ণমালা শিক্ষার দীক্ষা গ্ৰহণ করেন । প্ৰচলিত প্ৰথানুসারে তঁহাকে প্ৰথমে খড়ি দিয়া মাটীতে অক্ষর লিখিতে হইত। তঁহার স্মরণশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিল। তঁহার শিক্ষক একবার যাহা তঁহাকে শিখাইয়া দিতেন, তিনি তাহা ভুলিতেন না । শিশুপুত্রের এইরূপ স্মৃতিশক্তি দেখিয়া র্তাহার পিতা অত্যন্ত আনন্দ লাভ করিতেন । ইহাতে বিস্মিত হইবার কারণ নাই ; যেহেতু তঁহার পিতা ও মাতা উভয়েই তীক্ষাবুদ্ধি ও