পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব SO আবার একটী শোকের আঘাত পাইল। এই সময়ে শ্ৰীরামচন্দ্রের বয়স মাত্র ১২ বৎসর। এত অল্প বয়সেই তিনি পিতৃ-মাতৃ-বিয়োগ-ব্যথা অনুভব করিলেন। তিনি স্বভাবতঃ অল্পভাষী এবং লাজুক ছিলেন ; সেইজন্য এই গুরুশোকে তঁহার বুক ফাটিলেও মুখ ফুটিল না। পিতা মাতার স্নেহ-বঞ্চিত হইয়া সত্যুরোগমুক্ত রাজকুমার বিমর্ষ श्व। “পড়িলেন । শ্ৰী রামচন্দ্রের নাবালক অবস্থায় রাজ্য-শাসনের ব্যবস্থা পিতার মৃত্যুকালে শ্ৰী রামচন্দ্ৰ- অপ্ৰাপ্তবয়স্ক ছিলেন বলিয়া ব্রিটিশ গভৰ্ণমেণ্ট ময়ুরভঞ্জরাজ্যের শাসনভার উড়িষ্যার করদরাজ্যসমূহের সুপারিন্টেণ্ডেণ্টের উপর ন্যস্ত করিলেন। তিনি ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে মিষ্টার এইচ পি উইলিকে ময়ুরভঞ্জরাজ্যের ম্যানেজার নিযুক্ত করেন। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র তিন পুত্র ও চারি কন্যা রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ইহাদের মধ্যে দ্বিতীয় পুত্ৰকে নীলগিরির অপুত্রক রাজা ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে দত্তক গ্ৰহণ করেন এবং পরে তিনি নীলগিরির রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েন। তৃতীয় পুত্রের নাম শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব । ইনি তখন অত্যন্ত শিশু ছিলেন । এক্ষণে বারিপদায় থাকিয়া রাজপরিবারের তত্ত্বাবধান করিতেছেন । মিষ্টার উইলি ১৮৮২-৭৩ খৃষ্টাব্দের বার্ষিক রিপোর্টে তিন রাজকুমার সম্বন্ধে এই মৰ্ম্মে লিখিয়াছিলেন যে, অপ্ৰাপ্তবয়স্ক রাজা শান্ত-শিষ্ট এবং সৎস্বভাব ; ইহাকে ভিন্ন পারিপাশ্বিক আবেষ্টন ও প্রভাবের মধ্যে শিক্ষিত করিতে পারিলে ইনি পরে একজন উৎকৃষ্ট পুরুষকারসম্পন্ন নৃপতি হইতে পরিবেন । ইহার শরীর দুর্বল বলিয়া মনে হয়। ব্যায়াম ও আহাৰ্য্যের অব্যবস্থাই ইহার কারণ হইতে পারে। যে রাজকুমারকে নীলগিরির রাজা দত্তক লইয়াছেন, সেই রাজকুমার তাহার অগ্ৰজ অপেক্ষা স্ফৰ্ত্তিশীল এবং তঁহার অপেক্ষা স্বাস্থ্যবান। কনিষ্ঠ রাজকুমারের বয়স মাত্ৰ চারি বৎসর।