পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংশ-পরিচয় 2ܠ؟“ নাবালক রাজা-উভয়েরই শিক্ষা-দীক্ষার প্রতি দৃষ্টি রাখিবেন কিন্তু এ ব্যবস্থা সন্তোষজনক হইল না ; সুতরাং ঢেঙ্কানলের নাবালক রাজার মৃত্যু হইলে মিষ্টার কিডেল গবমণ্টের অনুমতি লইয়া ময়ুরভঞ্জ-রাজের কটক স্থিত বাটীতে অবস্থান করিতে লাগিলেন । দ্বাদশ বৎসরকাল ময়ূরভঞ্জের তরুণ নৃপতি র্তাহার শিক্ষকের সহিত একই বাটীতে অবস্থান করিয়াছিলেন । শ্ৰী রামচন্দ্ৰ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইবার পর আরও ছয় বৎসর। পৰ্য্যন্ত মিষ্টার কিডেলের সহিত তাহার এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অক্ষুন্ন ছিল । নাবালক অবস্থায় শিক্ষাধীন থাকিবার কালে তরুণ মহারাজা কখনও তাহার শিক্ষকের আদেশ অবহেলা করেন নাই, অথবা বিন্দুমাত্ৰ অসন্ত্রম প্ৰদৰ্শন করেন নাই । এই সময়ে সাবানের প্ৰথম প্ৰচলন আরম্ভ হয়। হিন্দুরা প্ৰথমে সাবান ব্যবহারে আপত্তি করিয়াছিলেন। এমন কি, সাবান-ব্যবহারে জাতি যাইবে-এরূপ কথা পৰ্য্যন্ত ছোটলাটের নিকট বলা হইয়াছিল । তথাপি মিষ্টার কিডেল শ্ৰীরামচন্দ্ৰকে মানের সময়ে সাবান ব্যবহার করিতে উপদেশ দিয়াছিলেন । অবশ্য তরুণ মহারাজা সাবান ব্যবহারের উপকারিতা বুঝিয়। সাবান ব্যবহার করিতেন। আর একটি উপদেশ সর্বদাই তিনি তাহার ইংরেজ শিক্ষকের মুখে শুনিতে পাইতেন ; তাহা এই-মানুষ নিম্নজাতির ঘরে জন্মিলেও সে মানুষ, ইহা সৰ্ব্বদা মনে রাখিবে (Remember a man's a man, though he is of low caste) সত্য সত্যই তরুণ মহারাজা ইহা মনে রাখিয়াছিলেন এবং উত্তরকালে কোনও মানুষকেই তিনি ঘূণা করিতেন না । তবে যে ব্যক্তি ঘূণ্য কাৰ্য্য করিত, তাহার উপর তঁাহার স্বতঃই ঘূণার উদ্ৰেক হইত। বাল্যে কৈশোরে শ্ৰীরামচন্দ্র বড় লাজুক, অল্পভাষী ও বিষন্ন ছিলেন ; তঁাহার মুখ সৰ্ব্বদাই ভার হইয়া থাকিত। প্ৰাতঃকালে অশ্বারোহণে ভ্ৰমণ করিবার সময়ে তঁাহার শিক্ষক কিডেল সাহেব