পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব 8) উপরও অর্পিত হয় । অতঃপর সকল প্ৰকার জটিল ফৌজদারী মামলার আপীল-বিচার রাজকীয় বিচারপতি ও জুডিসিয়াল কমিটির প্রেসিডেণ্টৰূপে মহারাজা স্বয়ং করিতে আরম্ভ করেন । পুত্ৰগণের শিক্ষার ব্যবস্থা এই সময়ে মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ তাহার পুত্রদ্বয়ের শিক্ষার অধিকতর সুব্যবস্থা করিতে মনোযোগী হয়েন । এতদিন কুমারদ্বয় গৃহেই সকল (বষয়ের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করিয়াছিলেন ; ইংরেজী ভাষাতেও তাহাদের বেশ অধিকার জন্মিায়াছিল । বারিপদায় থাকিয়া এবং স্বাস্থ্যলাভের জন্য কখনও হাজারীবাগে ও কখনও দাৰ্জিলিঙ্গে থাকিয়া তাহারা এতদিন শিক্ষালাভ করিয়া আসিয়াছিলেন । মহারাজা এক্ষণে তাহাদিগকে এরূপ শিক্ষা দিতে ইচ্ছা করিলেন- যে শিক্ষা লাভ করিযী। তাহারা জীবনের গুরুদায়িত্ব উপলব্ধি করিতে পারেন এবং প্ৰকৃত মানবোচিত গুণসম্পন্ন হইতে পারেন। এই বিষয়ে বিশেষৰূপ বিচারবিবেচনা করিয়া তিনি শিক্ষালাভার্থ কুমারদ্ধয়কে তঁহাদের পিতৃব্যপুত্রের সহিত ১৯০৯ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভেই আজমীরের মেয়ো কলেজে প্রেরণ করিলেন । শ্ৰীযুত শৈলেন্দ্ৰনাথ সরকার ইহাদের অভিভাবক ও শিক্ষকরূপে এবং পণ্ডিত দীনবন্ধু করা উডিয়া-শিক্ষকৰূপে ইহাদের সহিত গমন করেন। মহারাজা ব্যবস্থা করিলেন যে তাহার দুই পুত্ৰ কলেজের একজন ইংরেজ অধ্যাপকের সহিত একত্র অবস্থান করিবেন। এবং হিন্দুর আচারধৰ্ম্ম যথাযথভাবে পালন করিবেন। কিন্তু অন্যান্য সকল বিষয়ে তাহারা ইংরেজ বালকের মত শিক্ষালাভ করিবে। কারণ, মহারাজার ধারণা ছিল যে, এইভাবে শিক্ষিত হইলে তঁহাদের চরিত্রের দৃঢ়তা জন্মিবে, তাহারা শিষ্টাচার ও ভদ্র ব্যবহারে অভ্যস্ত হইবেন। 8 ད།