পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo বংশ-পরিচয় ইহার সুখ্যাতি করিয়াছিলেন। মিষ্টার ল্যাসেলেস বলিলেন,-সমস্ত মিছিলের মধ্যে এই সামরিক নৃত্য সর্বাপেক্ষা উপভোগ্য হইবে। সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী স্বয়ং কলিকাতার গড়ের মাঠে উড়িয়া পাইকগণের এই সামরিক নৃত্য দেখিয়া সন্তোষ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । সমাট স্বয়ং ৯১২ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৪শে ফেব্রুয়ারী বড়লাট বাহাদুরকে যে পত্ৰ লিখিয়াছিলেন তাহাতে তিনি মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্রের মৃত্যু-সংবাদে দুঃখ-প্ৰকাশ-প্রসঙ্গে পাইকগণের নৃত্যের বিষয় উল্লেখ করিয়াছিলেন। সম্রাট লিখিয়াছিলেন“সম্রাজ্ঞী এবং আমি আকস্মিক দুর্ঘটনার ফলে ময়ূরভঞ্জের মহারাজার মৃত্যু হইয়াছে শুনিয়া দুঃখিত হইলাম। আপনি অনুগ্ৰহ করিয়া শোকার্তা মহারাণীকে আমাদের অকপট সহানুভূতি জ্ঞাপন করিবেন। কলিকাতা গড়ের মাঠে মিছিল-গঠনে মহারাজা যে সহযোগিতা করিয়াছিলেন এবং তদুপলক্ষে তাহাকে তথায় দেখিয়া আমরা যে আনন্দ উপভোগ করিয়াছিলাম। তাহার স্মৃতি এখনও আমাদের মনে জাগরুক রহিয়াছে।” দিল্লী-দরবারে ১৯১১ খ্ৰীষ্টাব্দের ১২ই ডিসেম্বর দিল্লী সহরে যে দরবার বসিয়াছিল, মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ মহারাণী ও মহারাজকুমারগণ-সহ সেই দরবারে যোগ দিয়াছিলেন। দরবারে সশরীরে উপস্থিত হইয়া সমাটের নিকট রাজভক্তি ও আনুগত্য জ্ঞাপন করিবার সম্মানলাভ সকল রাজামহারাজার ভাগ্যে হয় নাই। ময়ূরভঞ্জের মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ দিল্লীর দরবারে উপস্থিত হইয়া স্বয়ং সম্রাটের নিকট রাজভক্তি ও বশ্যতাজ্ঞাপনের সন্মান লাভ করিয়াছিলেন । তৎপরে তিনি কলিকাতামিছিলের সুব্যবস্থা করিবার জন্য কলিকাতায় চলিয়া আসেন } সম্রাটদম্পতী কলিকাতায় আগমন করিলে মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ পূৰ্ণচন্দ্র সম্রাজ্ঞীর সন্মানিত বালভূত্য ( Page ) হইয়াছিলেন। ്