পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qo est-fits এই মৰ্ম্মে বলিয়াছিলেন :-আপনার শাসন-সময়ে ময়ুরভঞ্জ রাজ্যের প্রভূত উন্নতি হইয়াছে এবং এইজন্য গবমেণ্ট ইহার প্রশংসা করিয়া আসিতেছেন । আমার বিশ্বাস আছে, আপনার তরুণ বংশধর রাজকাৰ্য্যে আপনার অনুসরণ করিবেন । ইহার একবৎসর পরেই মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ শোচনীয় দুর্ঘটনায় পরলোক গমন করেন । মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্রের অকাল মৃত্যু-উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শোক-সভাষ্য মহারাজের যোগ্য স্মৃতিরক্ষার প্রস্তাব-আলোচনা-প্রসঙ্গে দেওয়ান বাবু মোহিনীমোহন ধর যে বক্তৃতা করেন তাহাতে তিনি বলেন—“মহারাজের সহিত আমার ২৪ বৎসরের পরিচয়-পরিচয়ের প্রথম স্তরে কটকে তিনি আমার ছাত্র, শেষ স্তরে ময়ূরভঞ্জে তিনি আমার প্রভু। আমি তাহাকে যেরূপ অন্তরঙ্গভাবে জানি, অতি অল্পলোকে তাহ জানেন । আমার অতি প্ৰিয়তম মহারাজাকে আমি সর্বাপেক্ষ শ্ৰদ্ধা করিতাম । তিনি আদর্শ নৃপতি, অভিজ্ঞ শাসক, উন্নতচরিত্র সম্রান্ত-ব্যক্তি এবং আদর্শ ভদ্রলোক। র্তাহার শাসনের মূলনীতিই ছিল—স্যায়পরতা, সংস্কার ও উন্নতি। ময়ূরভঞ্জের সকলেই জানিত, তিনি কিরূপ চুল চিরিয়া ন্যায়বিচার করিতেন। যখন মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্র রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করেন, তখন রাজ্যের আয় ছিল ৪ লক্ষ টাকার কিছু উপর ; কিন্তু এক্ষণে রাজ্যের আয় ১৩ লক্ষ টাকা ।। ২২ বৎসরেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি রাজ্যের আয় প্ৰায় তিনগুণ বৃদ্ধি করিয়াছেন। ইচ্ছামত করবৃদ্ধি করিয়া তিনি এই আয়বৃদ্ধি করেন নাই ; জমির জরিপ যথাযথভাবে করিয়া খাজনার হার যথাযথভাবে নির্দেশ করিয়াই তিনিই রাজ্যের আয় বৃদ্ধি করিয়াছেন। তঁহার শাসনভারগ্রহণের সময়ে ময়ুরভঞ্জ রাজ্য একরূপ আদিম অবস্থায় ছিল বলিলেই হয় ; কিন্তু তঁহার মৃত্যুকালে ক্ষুদ্র ময়ুরভঞ্জ রাজ্য দেশীয় সামন্তরাজ্যসমূহের মধ্যে যেগুলি সৰ্ব্বাপেক্ষা স্বশাসিত সেগুলির মধ্যে অন্যতম হইয়া উঠে। এই রাজ্যের শাসনকার্ঘ্যের