পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫৭

0yp. १- अवि5 মুগ্ধ করিত। একদিকে যেমন তাহার প্রচুর ধনাগম হইতে লাগিল অন্যদিকে তেমনি তিনি ও উর্তাহার জননী সদাব্রত, অতিথিসৎকার, যাগ যজ্ঞ, দেব পুজা এবং মুক্তহস্ত দানে প্রচুর অর্থব্যয় করিতে লাগিলেন। ঈশানচন্দ্রের গৃহে তাহার পূর্বপুরুষানুষ্ঠিত দোল, দুর্গোৎসব, কালীপূজা, রাসযাত্রা প্রভৃতি উৎসব মহাসমারোহের সহিত সম্পন্ন হইত। কিন্তু তিনি ইহাতেও সন্তোষ লাভ করিতে পারেন নাই। তিনি অতিশয় মাতৃভক্ত ছিলেন ; মাতার আদেশে জগদ্ধাত্রী এবং তৎপর অন্নপূর্ণ পূজার অনুষ্ঠান করিলেন। শক্তি মন্ত্রের উপাসক হইয়াও মাতা ও পুত্রের হৃদয় বৈষ্ণবোচিত উপাদানে গঠত ছিল। এই নিমিত্ত র্তাহারা জগদ্ধাত্রী এবং অন্নপূর্ণ পূজায় পশুবলি পরিহার করিয়াছিলেন । ঈশানচন্দ্ৰ পিতার বাৎসরিক শ্ৰাদ্ধ উপলক্ষে ব্ৰাহ্মণ ও ব্ৰাহ্মণেতরবর্গের ভোজনের নিমিত্ত যেরূপ অপৰ্য্যাপ্ত ব্যয় করিতেন তাহার অনুষ্ঠিত এই পূজা উপলক্ষে সেইরূপ ব্যয়েরই ব্যবস্থা করিলেন। সুতরাং আয়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ের মাত্রা বুদ্ধি হওয়ায় সঞ্চায়ের পরিমাণ ধনাগমের তুলনায় অতি অল্পই হইত ; কিন্তু সেজন্য ঈশানচন্দ্র একটুও কুষ্ঠিত হইতেন না । ঈশানচন্দ্রের প্রথমা পত্নী গিরিজাসুন্দরীর গর্ভে। ঈশানচন্দ্রের ছয়টিী সন্তান জন্মগ্রহণ করে ; তন্মধ্যে দুইটি কন্যা ও চারিটি পুত্র। ( ১ , শরৎচন্দ্ৰ (২) রাজলক্ষ্মী, (৩) ক্ষীরোদচন্দ্র, ( $ ) সতীশচন্দ্র, (৫ ) পূর্ণচন্দ্ৰ, (৬) সরোজিনী। প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান অতি অল্প বয়সেই পরলোক -গমন করে। সরোজিনীর জন্মের পর হইতেই গিরিজাসুন্দরীর মৃত্যুবৎস দোষ ঘটে এবং তঁহার শেষ সন্তান অস্ত্ৰোপচার দ্বারা নিষ্কাষণ করার ফলে তিনি ক্ষত রোগে আক্রান্ত হন এবং এই ব্যাধিতেই গিরিজাসুন্দরী স্বামী-পুত্র রাখিয়া ১২৯৩ সালের পৌষমাসে স্বৰ্গারোহণ করেন। ঈশানচন্দ্ৰ পুত্ৰ কন্যার শোক সহ করিয়াছিলেন, কিন্তু নিয়তির এই নিৰ্ম্মম ৰুধাৰাত তাহার পক্ষে নিতান্ত অসহ্য হইল। তিনি ভগ্ন হৃদয়েও চন্দ্ৰধেনু