পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬/চন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়। RYèt চন্দ্রমোহনকে অন্তরঙ্গ বন্ধু বলিয়া মনে করিতেন। ছোটলাট সার উইলিয়াম গ্রের পরিবারবর্গের সহিত র্তাহার এতদূর ঘনিষ্টত হয় যে লাট পত্নী তাহার নিজের ও সন্তান সন্ততিদের আলোকচিত্র এবং তঁাহাক্স স্বামীর একখানি তৈলচিত্র চন্দ্রমোহনকে উপহার প্রদান করেন। সারা এসলি ইডেন সাহেবও নিজের একখানি তৈলচিত্ৰ চন্দ্রমোহনকে উপহার দেন। ইং ১৮৭৭ সালে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার ভারত সামাজ্ঞী উপাধি গ্ৰহণ উপলক্ষে চন্দ্রমোহনকে একখানি সন্ত্রমসূচক সাটিফিকেট সরকার হইতে দেওয়া হয়। অবসর গ্ৰহণ করিয়া চন্দ্রমোহন পলতা জলের কালের অপর পারে। বৈদ্যাবাটীর গঙ্গাতীরে একখানি বাগান বাটীতে বাস করিতেন। সেখানে কয়েক বৎসর পরে তঁহার চক্ষুরোগ হওয়ায় কলিকাতায় আসিয়া চিকিৎসা করান। কিন্তু ডাক্তার কেলির অস্ত্ৰ চিকিৎসায় কোনও ফল হয় নাই। একটা চক্ষু নষ্ট হইয়া যায়। চক্ষু নষ্ট হইলেও তাহার দৈনন্দিন জীবনে BBDSDBDBDBD DDD DBDuBuuBD DDD DDD S DB BDBBD DBD DDDB নিয়ম করিয়াছিলেন তাহা এত সূক্ষ্মভাবে পালন করিতেন যে লোকে বলিত তাহাকে দেখিয়া ঘড়ি মিলাইয়া লওয়া যাইতে পারে। চন্দ্রমোহনের জীবন যেমন অনন্যসাধারণ ছিল, তঁাহার মৃত্যুও সেইরূপ অসাধারণ ভাবে ঘটে । তাহাকে ইচ্ছামৃত্যু বলিলেও চলে । ১২৯২ সালের বৈশাখ মাসে একদিন প্ৰাতভ্ৰমণ করিয়া আসিয়া শুনিলেন। যে তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্ৰাতপুত্রের প্রস্রাব পরীক্ষায় দেখা গিয়াছে যে বহুমূত্র রোগের সঞ্চার হইয়াছে এবং ডাক্তারেরা তিন চারি মাসের মধ্যে জীবন হানির আশঙ্কা করেন। চন্দ্রমোহন শুনিয়া বলিলোিম যে তিনি ভ্রাতুষ্পপুত্রের মৃত্যু দেখিবেন না। তাহার পূর্বেই তিনি চলিয়া যাইবেন। আহার ত্যাগ করিয়া সেই দিন হইতে কেবল ফলের রস পান করিয়া থাকিতে আরম্ভ করিলেন এবং তাহার পরিমাণও দিন দিন কমাইতে লাগিলেন।