পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vbr ংশ-পরিচয় করেন বাজায়ে নাগরা কাড়া”। রাধাকান্ত পালের নিজস্ব বহু সৈন্যসামন্ত ও হাতী-ঘোড়া ছিল এবং বৰ্দ্ধমান ব্যতীত মেদিনীপুর ও উড়িষ্যায় বহু বিস্তৃত জায়গীর ইত্যাদি ছিল। তাহার আমলে হস্তীর পৃষ্ঠে খাজনার টাকা উড়িষ্যা ও মেদিনীপুর হইতে হিট্টায় আসার কথা এখনও এদেশে প্ৰবাদ-বাক্যে পরিণত রহিয়াছে। তাহার আমলের রংখানা এবং দেওয়ানখানার ভগ্নাবশেষ অদ্যাপি হিট্টার পালবংশীয়গণের অতীত গৌরবের কথা স্মরণ করাইয়া দিতেছে। রাধাকান্ত পাল মহাশয় অতিশয় তেজস্বী ও যুদ্ধনিপুণ ছিলেন। এদেশে এখনও কিম্বদন্তী আছে যে, ১৭৪৩ খৃষ্টাব্দে নবাব আলিবদি খ্যার উপদেশে বদ্ধমানের দেওয়ান কীৰ্ত্তিচাদ বিষ্ণুপুর রাজ্যটি গ্রাস করিবার চেষ্টা করেন, সে সময়ে মহারাষ্ট্র-সর্দার রঘুজী ভোসলার সেনাপতি ভাস্কর পণ্ডিত কীৰ্ত্তিচাদের বৰ্দ্ধমানে অনুপস্থিতির সংবাদ শুনিয়া তাহাকে আক্রমণ করিয়! বন্দী করেন। তখন এই রাধাকান্ত পােলই ভাস্কর পণ্ডিতকে যুদ্ধে পরাজিত কবিয়া কীৰ্ত্তিচাদকে উদ্ধার করিয়া আনেন। কীৰ্ত্তিচাদ বিষ্ণুপুর হইতে বৰ্দ্ধমান আসিবার পথে দামোদর পার হইয়া উক্ত দামোদর নদের তীরবত্তী এক বিস্তীর্ণ ভূভাগ রাধাকান্ত পালকে জায়গীর দান করেন। রাধাকান্ত পােল মহাশয় ঐস্থানের জঙ্গলাদি কাটাইয়া আপন নামে লাট রাধাকান্তপুর নামক গ্রামসমূহ পত্তন করেন এবং যাহাতে দামোদরানন্দ উক্ত গ্রামসমূহের নদীতীরবত্তী-ভূমি ধ্বংস করিতে না পারে তন্নিবারণের জন্য প্ৰায় ৪ মাইলব্যাপী এক ইষ্টকনিৰ্ম্মিত প্ৰাচার গাথিয়। দেন। অদ্যাপি উক্ত প্ৰাচীরের ভগ্নাবশেষ মধ্যে মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায়। উক্ত জায়গীর এখন পৰ্য্যন্ত আয়ম রাধাকান্তপুর নামে খ্যাত এবং হিট্টার পালবংশীয়গণ এখনও উহা সম্পূর্ণরূপে ভোগদখল করিতেছেন। রাধাকান্ত পাল মহাশয় তাহার জমিদারীর মধ্যে বহু স্থায়ী কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন। চান্নার বিশালাক্ষীদেবীর মন্দির তাঁহারই