পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমানের পালবংশ \Oу С চাউলের কারবার স্থাপন করিয়া যথেষ্ট অর্থ উপাৰ্জন করিয়া সাংসারিক অর্থকৃচ্ছতা নিবারণ করেন। উক্ত মহাভারত পাল মহাশয়ের মৃত্যুর পর তৎপুত্ৰ গোপীনাথ পাল মহাশয় তৎকালে যে শ্ৰাদ্ধ করেন সে সম্বন্ধে এখনও প্ৰবাদ আছে যে, “ডেলের ঝোলে নৌকা চলে, ভাত পাথর তায় যায় ভেসে, ভাল ছারাদ করেছেন গোপী পাল বসে।” গোপীনাথ পালের মৃত্যু হইলে তাহার পুত্ৰ স্বনামধন্য গঙ্গানারায়ণ পাল মহাশয়ও তঁাহার যে পিতৃশ্ৰাদ্ধ করিয়াছিলেন সে সম্বন্ধে এখনও এদেশে প্ৰবাদ আছে যে, “বারসত্য আশী সাল, মারা গেলেন। গোপীনাথ পাল, শ্ৰাদ্ধ হলো তেসরা ফাল্গুনে ; শ্রাদ্ধের হইল ধুম ভারী, কৈলাস কল্লেন লুচি চুরি, এই কথা সর্ব লোকে জানে।” বৰ্দ্ধমান অঞ্চলে শ্ৰাদ্ধকাৰ্য্যে লুচি সন্দেশ খাওয়ান সেই প্ৰথম ঘটনা ; এই লুচিচুরিকারক কৈলাস যে কে তাহা এক্ষণে জানিবার কোনও উপায় নাই ; কিন্তু প্ৰবাদ চলিয়া আসিতেছে । গোপীনাথ পাল মহাশয়ের জ্যেষ্ঠপুত্র পরলোকগত গঙ্গানারায়ণ পাল মহাশয় প্ৰাতঃস্মরণীয় স্বনামধন্য লোক ছিলেন। অষ্টাদশ বর্ষবয়সে তাহার পিতৃবিয়োগ হয়। কিন্তু সে সময় হইতেই তিনি বুদ্ধিবৃত্তি, তেজস্বিতা, নম্রতা, ধৈৰ্য্য, ক্ষমা ও অন্যান্য নানাবিধ সদগুণের যেরূপ পরিচয় দেন তাহ বাস্তবিকই অনন্যসাধারণ । তাহার ঐশ্বৰ্য্যে হিংসাপরবশ হইয় তাহার জনৈক জ্ঞাতি অন্যান্য জ্ঞাতি ও গ্রামবাসিগণের সহিত মিলিত হইয় তাহার সর্বনাশী-সাধনের জন্য প্ৰায় বিশ বৎসর ধরিয়া তাহার অনিষ্ট-সাধনের চেষ্টা করিতে থাকেন। তঁহাদের অত্যাচারে তঁাহাকে হিট্টাগ্রাম হইতে অনেক সময় গোমহিষাদি গৃহপালিত পশুগণকে এবং স্ত্রীপুত্র-পরিবারবর্গকে স্থানান্তরে রক্ষা করিতে হয়। কিন্তু তঁাহার অসীম ধৈৰ্য্য ও অধ্যবসায়-গুণে R ?