পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূদেব মুখোপাধ্যায় Sw0 খাইতে পরিতে পাইতেন এবং মাসিক আট টাকা করিয়া বেতন পাইতেন। * * মাসে মাসে ভূদেব ঐ টাকা পিতার নিকট পাঠাইতেন। আট টাকাতেই পিতার স্বচ্ছন্দে সংসার চলিত। ঐ বৃদ্ধের সাহায্যে শীঘ্ৰ চন্দননগরে একটা স্কুল श्iङि ङ्ख्न ! ভূদেব তথায় ষোল টাকা বেতনে শিক্ষক নিযুক্ত হন। সুতরাং ভুদেবের এখন মাসিক আয় হইল। ২৪২ টাকা। সুখে সংসার চলিতে লাগিল । ভূদেব যখন চুচুড়ায় থাকেন, তখন অর্থের দিকে তাহার তাদৃশ প্ৰবৃত্তি ছিল না। মাসিক ২৪২ টাকাতেই তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন । কারণ, ইহাতেই তাহার পরিবারবর্গের ভরণ-পোষণ উত্তমরূপে চলিত। বড় চাকুরী করিব,-বড়লোক হইব,-এ বড় সাধে তখন তাহার হৃদয় পূৰ্ণ হয় নাই । তঁহার অন্তরের ইচ্ছা ছিল-“দেশে দেশে, নগরে নগরে, গ্রামে গ্রামে শিক্ষা বিস্তার করিব।” এ সম্বন্ধে স্বৰ্গীয় পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন লিখিয়াছেন, -“তিনি মিশনারীদিগের ন্যায় নানাস্থানে বিদ্যালয় স্থাপন করিয়া, দেশের সর্বত্র বিদ্যা প্রচার করিবেন, এই এক নূতন আমোদে মত্ত হইলেন এবং তদনুসারে কয়েকজন বান্ধবের সহিত শেয়াখালী, চন্দননগর, শ্ৰীপুর প্রভৃতি কয়েক স্থানে স্কুল স্থাপন করিয়া, স্বয়ং সেই সকল স্কুলের অধ্যাপকতা কাৰ্য্য সম্পাদনপূর্বক কয়েক বৎসর অতিবাহিত করিবেন। কিন্তু যেরূপ অর্থবলে ও লোকবলে মিশনারীরা স্কুল-স্থাপনাদি কাৰ্য্যে কৃতকাৰ্য্য হন, এ দরিদ্র ব্ৰাহ্মণের সে সকল কিছুই ছিল না। কেবল মন ছিল। কিন্তু সংসারে শুদ্ধ এক মনের বলেই সকল কাৰ্য্য সাধিত হয় না। সুতরাং কয়েক বৎসর পরেই তঁহাকে সে আমোদ ত্যাগ করিয়া জীবিকার জন্য উপায়ান্তরের চেষ্টা দেখিতে হইল।” ভগিনীর বিবাহে ঋণ ভূদেববাবু এইভাবে একবৎসর কাল শিক্ষাবিস্তারের কাৰ্য্যে নিযুক্ত