পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূদেব মুখোপাধ্যায় S 0 ( উন্নতিকল্পে ও ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণের রক্ষাকল্পে তাহার আজীবনের সঞ্চিত যে দেড় লক্ষ টাকা দান করিয়া গিয়াছেন,-সেই দানের সাত্ত্বিকতা ও মহত্ত্ব সহজেই অনুমান করা যায়। এই দানের জন্য তিনি যে দেশের দানবীরগণের তালিকা মধ্যে সম্মানজনক আসন অধিকায় করিয়াছেন সে বিষয়ে সন্দেহমাত্ৰ নাই। পত্নীর স্বাস্থ্যভঙ্গ ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে মে মাসে ভূদেববাবুর কনিষ্ঠ পুত্র সিদ্ধেশ্বরের মৃত্যু হয় ; তাহার পর হইতেই ভূদেববাবুর পত্নীর স্বাস্থ্যভঙ্গ হয়। * থমে ভূদেববাবু বঁকিপুরের মুরাদপুর মহল্লায় একটী বাড়ী ভাড়া করিয়া পরিবারবর্গকে তথায় রাখেন। তাহার পর ৬/কাশীধামে ত্রিপুরা ভৈরবীতে বাসা করেন। কাশীতে আসিয়া ভূদেববাবুর পত্নীর স্বাস্থ্য কিছু ভাল হইয়াছিল। পরিদর্শনকালে ভুদেববাবু কিছুদিন বজরা ব্যবহার করেন ও পত্নীকেও সঙ্গে রাখেন। ইহাতে র্তাহার নিজের স্বাস্থ্য ভাল হইয়াছিল বটে, কিন্তু পত্নীর স্বাস্থ্যের আশানুরূপ উন্নতি হয় নাই। ৪৫ বয়সে ভূদেববাবু ঘোড়ায় চড়া শিখিয়াছিলেন। ১৮৭০ খৃষ্টাব্দের ২রা ফেব্রুয়ারী তারিখে তিনি তঁহার দ্বিতীয় পুত্রকে লিখিয়াছিলেন,- গোবিন! কল্য বৈকালে এমন একটি কাজ করিয়াছিলাম যাহা ইহজন্মে কখন করা হয় নাই-ঘোড়া চড়িয়ছিলাম ; পড়িয়া যাই নাই। প্ৰথমে শরীর এবং মাথা একবার কেমন কেমন করিয়াছিল । হঠাৎ ভূমিকম্প উপস্থিত হইলে ঠিক ঐ রূপ হয়। কিন্তু শীঘ্রই ঐ ভাব সারিয়া গেল ; যদিও আসনে জোর পাইলাম না তথাপি বোধ হইল যেন ঘোড়া নড়িলেও পড়িয়া যাইব না। লাগামটী এক হাতে ধরিতে