পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Spe <-fast হইতে র্তাহার কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠার বিশেষ পরিচয় পাওয়া যায়। যখন তিনি কলিকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, তখন একদিন যতীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নামক র্তাহার একটি পঞ্চদশবর্ষীয় পুত্রের বিসূচিকা হয়। প্ৰাতঃকালেই বালকাটীর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় দেখা যায়, তাহা সত্ত্বেও গুরুদাসবাবু হাইকোটে আপন কৰ্ত্তব্য-সম্পাদনের জন্য গমন করেন এবং বিচারাসনে বসিয়া বিন্দুমাত্ৰ উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠার ভাব প্ৰদৰ্শন না করিয়া আপন কৰ্ত্তব্য সমাধা করিতে থাকেন। পরে প্রধান বিচারপতি কোনও সূত্রে তাহ জানিতে পারিয়া গুরুদাসবাবুকে আদালত বন্ধ করিয়া বাটী যাইতে বলেন। ১৮৯২ খ্ৰীষ্টাব্দে গুরুদাসবাবু সেই বালকাটীর স্মৃতি অক্ষুন্ন রাখিবার জন্য “যতীন্দ্ৰচন্দ্ৰ পদক” ও একটি পুরস্কারের ব্যবস্থা করেন। এই পদক প্রতি বৎসর ম্যার্টিকুলেশন পরীক্ষায় যে বালক প্রথম স্থান অধিকার করে তাহাকে দেওয়া হয় এবং হেয়ার স্কুল হইতে যে বালক ম্যাটিকুলেশন পরীক্ষায় প্ৰথম হয় তাহাকে পুরস্কারস্বরূপ মূল্যবান পুস্তকাদি দেওয়া হয়। ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসনেও তিনি যতীন্দ্ৰনাথের স্মৃতিরক্ষাকল্পে একটি পদক পুরস্কারের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। ১৮৮৯ খ্ৰীষ্টাব্দে গুরুদাসবাবুর মাতৃবিয়োগ হয়। তিনি মাতার স্মৃতিরক্ষণার্থ প্ৰতিবৎসর সংস্কৃত ভাষায় এম-এ পরীক্ষা দিয়া যিনি প্ৰথম भांड्रविष्मांश স্থান লাভ করেন। তঁহাকে “সোনামণি পুরস্কার” দিবার ব্যবস্থা করেন। মাতৃশ্ৰাদ্ধের সময় তিনি উপস্থিত পণ্ডিতমণ্ডলীর মধ্যে “সামবেদ” নামক অমূল্য গ্ৰন্থ বাঙ্গালা অক্ষরে ছাপাইয়া বিতরণ করিয়াছিলেন। সেই গ্রন্থের উপরের পৃষ্ঠায় ब्रिपिंड छ् ि “গ্রন্থোহয়ং গুরুদাসেন শ্রুতি প্রচার কাজ্যিক্ষনা স্বৰ্গ কামনয়া মাতুর্দত্তো ভক্ত্যা মনীষিণে।” কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা