পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর ܬܹܬܘ BDBD DBBD BD DB DBD KDBDD BT SEDBDKBYESesBYD বিদ্যাসাগর মহাশয় তাদৃশ যত্ন লাইতে পারিতেন না। অবশেষে তিনি পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণকে ডাকিয়া আনিয়া তাঁহারই হন্তে “সোমপ্রকাশ” সমৰ্পণ করেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় বন্ধুবৎসল ও বিপন্নের বন্ধু ছিলেন । র্তাহার দয়ার পাত্ৰাপাত্র ছিল না । লোকের বিপদ-আপদ বা দুঃখ-কষ্টের কথা শুনিলে তিনি স্থির থাকিতে পারিতেন না ; অবিলম্বে দুঃখমোচনেও ব্যবস্থা করিতে প্ৰবৃত্ত হইতেন । এজন্য যদি ঋণ করিতে হইত। তাহাতেও পশ্চাৎপদ হইতেন না । কেহ কেহ বলেন, বিদ্যাসাগরের জীবনে ৫০ হাজার টাকার অধিক ঋণ হইয়াছিল ; কিন্তু মৃত্যুকালে তিনি এক কপর্দােকও ঋণ রাখিয়া যান নাই। মাইকেল মধুসূদন দত্তকে সাহায্য-দান ১৮৬২ খৃষ্টাব্দে মাইকেল মধুসুদন দত্ত ব্যারিষ্টার হইবার জন্য বিলাত যাত্ৰা করেন । কলিকাতার কোনও প্ৰসিদ্ধ উকীলের মোক্তার তঁাহার জমি-জমার পত্তানি লইয়াছিলেন। জনৈক রাজা বাহাদুর সেই পত্তনিদারের নিকট হইতে টাকা আদায় করিয়া মাইকেলকে বিলাতে পাঠাইবার ভার গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। মাইকেল বাব কতক তঁহার নিকট হইতে টাকা পাইয়াছিলেন । তার পর বার বার চিঠি লিখিয়াও টাকা পান নাই। বিদেশে অর্থাভাবে তাহার অত্যন্ত কষ্ট হইয়াছিল, এমন কি কারাবাসেরও উপক্ৰম ঘটিয়াছিল । এই বিপদের সময়ে তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট অর্থসাহায্য চাহিয়া পত্ৰ লিখিয়াছিলেন । তিনি মাইকেলের চিঠি পাইয়া তদণ্ডে ৬০ ০০২ টাকা ধার করিয়া সেই টাকা মাইকেলকে পাঠাইয়া দেন। তঁহার নিজের হাতে তখন এক কপর্দকও ছিল না। বিদ্যাসাগরের টাকায় মাইকেলের জীবন ও সম্মান উভয়ই রক্ষা পাইয়াছিল। তাই বিদ্যাসাগর সম্বন্ধে কবি লিখিয়াছিলেন ; VO