পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

co ፪*ዛ-ጓfቘbጃ তাহার উপায় নাই। কারণ সকলেই যে জরাগ্রস্ত। ঘরে ঘরে লোক চিকিৎসাভাবে মরিতে লাগিল । এই সময়ে বিদ্যাসাগরমহাশয় পীড়িত জনগণের চিকিৎসার্থ ডিস্পেন্সারী বা দাতব্য ঔষধালয় স্থাপন করিয়াছিলেন। সেখানে লোকে ঔষধ, পথ্য ও পয়সা পাইত। প্ৰকাশ, তিনি প্ৰায় দুই হাজার টাকার কাপড় এই সময়ে বৰ্দ্ধমানে বিতরণ করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর-চরিতকার ৬/বিহারিলাল সরকার মহাশয় লিখিয়াছেন :-“এই সময় প্যারিচাদবাবুর ভ্রাতুষ্পপুত্র ডাক্তার গঙ্গানারায়ণ মিত্ৰ মহাশয় বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অনেক সাহায্য করিতেন । তঁহার উপর “ডিস্পেন্সারী”র সম্পূর্ণ ভার ছিল। কুইনাইন বড় মূল্যবান, অথচ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি হইতেছিল। এইজন্য গঙ্গানারায়ণ বাবু পরামর্শ দেন যে, কুইনাইনের পরিবর্তে “সিঙ্কোনা” ব্যবহার করা হউক। বিদ্যাসাগরমহাশয় বলেন,-“গরীবের রোগ বলিয়া প্ৰকৃত ঔষধ ব্যবহার করিবে না ; এও কি কখন হয় ? দুঃখী ধনী সবারই প্ৰাণ তো একই ; পরন্তু রোগও এক। গঙ্গানারায়ণবাবু বিদ্যাসাগরের মহত্ত্বে ডুবিয়া গেলেন। যেসব রোগী ঔষধ লইবার জন্য “ডিস্পেন্সারী”তে আসিতে পারিত না, বিদ্যাসাগরমহাশয় তাহাদের বাড়ীতে গিয়া, স্বয়ং ঔষধ-পথ্য দিয়া আসতেন।” আৰ্ত্ত-সেবা, দীন-দুঃখীর সেবা, পীড়িতের শুশ্রুষা-বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ধৰ্ম্ম ছিল। তিনি দয়ার সাগর ছিলেন। মানুষের কষ্ট তিনি দেখিতে পারিতেন না । ভ্ৰান্তিবিলাস বৰ্দ্ধমানে এই সেবাব্রতে ব্যাপৃত থাকিবার সময়ে দুই সপ্তাহে বিদ্যাসাগরমহাশয় ‘ভ্ৰান্তিবিলাস” রচনা করেন । ইহা মহাকবি সেক্ষপীয়রের ‘কমেডি অফ এরিস” নামক পুস্তকের অনুবাদ ।