পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yr 8 বংশ-পরিচয় কিনিয়া দিবার ক্ষমতা তাহার ছিল না। সেইজন্য তঁহাকে পরের নিকট হইতে পুস্তক চাহিয়া আনিয়া পড়িতে হইত। একবার দক্ষিণার পয়সা জমাইয়া তিনি একখানি ইংরেজী অভিধান ক্ৰয় করিয়াছিলেন । ভূগোল অনুশীলনের জন্য মানচিত্র দেখা আবশ্যক; সেই মানচিত্র দেখিবার জন্য তঁহাকে হরিতকী বাগান হইতে বাগবাজারে যাইতে হইত। পরের পুস্তক কাছে বহুদিন রাখা যাইত না বলিয়া তিনি পুস্তক আনিয়া উহা হইতে প্ৰয়োজনীয় অংশগুলি টুকিয়া লইতেন । এইরূপ করায় তাহার স্মৃতিশক্তি বলবতী হইয়া উঠিতেছিল । ক্লাস প্রোমোশন ও বিবাহ ১৮৪০ খৃষ্টাব্দে ভূদেববাবু অষ্টম শ্রেণী হইতে “ডাবল প্রোমোশন” পাইয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে জোন্স সাহেবের ক্লাসে এবং পর বৎসর ৫ম শ্রেণীতে হালফোর্ড সাহেবের শ্রেণীতে উঠিলেন। পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়ন করিবার সময়েই কলিকাতা বেটু চাটুজ্যের স্ত্রীটের ৬/পঞ্চানন চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয়া কন্যার সহিত ভুদেববাবুর বিবাহ হয়। ভূদেববাবু যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়েন। সেই সময়ে একবার তঁহার স্কুলের ১৬ মাসের ৮০২ টাকা মাহিনী বাকী পড়িয়াছিল। পিতা। ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত, র্তাহার মাসিক আয় সামান্যই ছিল । সুতরাং এত টাকা ঋণ শোধ করিয়া যে পুত্রকে হিন্দু স্কুলে আবার পড়াইতে পরিবেন। এরূপ সম্ভাবনা ছিল না। যাহা হউক, ঐ বৎসর ভূদেববাবু পঞ্চম শ্রেণীতে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা দিয়া বৃত্তি লাভ করেন ও বৃত্তির টাকা হইতেই স্কুলের বেতন পরিশোধ হয়। ভুদেববাবু জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করিয়াছিলেন। প্ৰথম হইয়াছিলেন, -তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র জগদীশনাথ রায় (ইনি পরে ডিষ্টিক্ট পুলিশ সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট হইয়াছিলেন)। হিন্দু কলেজে তখন দুইটী বিভাগ ছিল -একটী সিনিয়র বিভাগ, অপরটা জুনিয়র বিভাগ। প্ৰথম শ্রেণী হইতে