পাতা:বংশ-পরিচয় (দশম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধুসুদন দত্ত 〉b"> স্পর্শ করিতে পারে নাই। বৃদ্ধ বয়সে তাহার কেশ পক্কতা প্ৰাপ্ত হইয়াছিল বটে। কিন্তু তাহার দৃষ্টিশক্তি ও দশনপংক্তি শেষ পৰ্য্যন্ত অটুট ছিল। মধুসূদন জীবনে কখনও মাদকদ্রব্য সেবন বা ধূমপান করেন নাই। তাহার একমাত্র নেশা ছিল শ্ৰীভগবানের নামোচ্চারণ । গুরুভক্তি ও ধৰ্ম্মপ্রচার পণ্ডিত ৬/গোকুলচন্দ্ৰ গোস্বামী মহাশয় মধুসূদনের অভীষ্টদেব ছিলেন। বৈষ্ণব জগতে গোস্বামী মহাশয়ের বিশেষ প্ৰতিষ্ঠা ছিল। কলিকাতা সিন্দুরিয়াপটীর ৬/কাশীনাথ মল্লিক। মহাশয়ের সংস্কৃত দাতব্য বিদ্যালয় ইহারই উদ্যোগে ও পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। মধুসূদনের উৎসাহে ও আন্তরিক যত্নে এই সংস্কৃত বিদ্যালয়ে প্রভুপাদ ভাগবত-ধৰ্ম্মমণ্ডল নামে এক সভার প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। এই ধৰ্ম্মমণ্ডল সভায় তৎকালে কলিকাতার বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত প্ৰভুপাদ গোস্বামী মহাশয়ের প্রমুখাৎ ভাগবতের ব্যাখ্যা শ্রবণ করিতেন। বৈষ্ণব ব্ৰত সম্বন্ধে সে সময়ে ভ্ৰমপ্ৰমাদ শুন্য কোন গ্ৰন্থ না থাকায় নৈষ্টিক কৰ্ম্মে বিশেষ গোলযোগ উপস্থিত হইত। মধুসুদন এই গোলযোগ দূরীকরণার্থ প্ৰভুপাদ গোস্বামীমহাশয়কে একটী ব্ৰততালিকা রচনা করিতে অনুরোধ করেন। তদনুসারে প্রভুপাদ বাৎসরিক বৈষ্ণব ব্ৰতের একখানি তালিকা রচনা করেন এবং ধৰ্ম্মমণ্ডল হইতে ঐ পুস্তকা বিনামূল্যে বিতরিত হয়। অন্যাপি ঐ ব্ৰত-তালিকা প্ৰকাশিত ও বিতরিত হইয়া আসিতেছে । তীর্থসংস্কার লুপ্ত তীর্থের সংস্কার ও প্রাচীন শ্ৰীমন্দিরের সংস্কারাদি ব্যাপারেও মধুসূদনের বিশেষ যত্ন ও সহানুভূতি ছিল। কয়েক বৎসর যাবৎ সপ্তগ্রামে দ্বাদশ গোপালের অন্যতম শ্ৰীমদুদ্ধারণ দত্ত ঠাকুরের শ্ৰীপাঠে