পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুড়িপুষ্করিণীর সাহানা-বংশ br> গোসাই দাসের মৃত্যু হওয়ায় প্ৰাণকৃষ্ণ ঐ কাৰ্য্য গ্ৰহণ করিতে পারেন। নাই । শিশু সঙ্গোদরের লালন-পালনে, রাণীগঞ্জের কারবার ও পিতৃত্যক্ত ভূসম্পত্তির উন্নতি-সাধনেই তিনি আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন। পরে তঁহার আত্মীয়-স্বজন মধ্যে অনেকেই বলিতেন যে, তাহার সরকারী চাকরীতে প্ৰবৃত্ত না হওয়া তঁহার ও র্তাহার বংশাবলীর পক্ষে মঙ্গলকর হইয়াছিল । রাণীগঞ্জের কারবারে বেশ লভ্য হইতে থাকায় কারবারটির ক্রমোন্নতি হয়। লভ্যোর টাকা হইতে প্ৰাণকৃষ্ণ দেশে ভূসম্পত্তি বৃদ্ধি করেন এবং মধুপুর হইতে গিরিডি পৰ্যন্ত রেল লাইন যে বৎসর খোলা হয় সেই বৎসরই পাঁচম্বায় একটী এবং তৎপর বৎসরে গিরিডিতে একটী কারবার স্থাপন করেন। ঐ সকল কারবারের এবং ভূসম্পত্তির আয় হইতে শৈশবে পিতৃমাতৃহীন ভ্রাতৃদ্বয় বেশ অর্থশালী হইয়া উঠেন । প্ৰাণকৃষ্ণ বুদ্ধিমান, দূরদর্শী, সদালাপী ও হৃদয়বান পুরুষ ছিলেন । প্ৰজাগণের ও অন্য লোকের সহিত তাহার ব্যবহার সহৃদয়তা-পূর্ণ ছিল । তিনি অন্নদানে অকাতর ছিলেন বলিলে ঠিক কথা বলা হয় না । যেদিন একজন অতিথি তাহার গৃহে না থাকিত, সেদিন তিনি কোন আনন্দই পাইতেন না । এবিষযে তঁাহার প্রকৃত সহধৰ্ম্মিণী ছিলেন। তঁহার সাধবী পত্নী দাক্ষিণ্যবতী হৃদয়বাসিনী দেবী ( অন্য নাম অম্বিকা দেবী । । অম্বিকা দেবী কেন্দুড়-নিবাসী কমলাকান্ত রায়ের একমাত্র পুত্র দুর্গাচরণ রায়ের কন্যা ছিলেন। কমলাকান্ত রায় এরূপ ঐশ্বৰ্য্যশালী ব্যক্তি ছিলেন যে, অনেকে তঁহাকে রাজা কমলাকান্ত রায় বলিত। তঁহার ইজারা মহল সকলের আয় লক্ষাধিক টাকা ছিল। তাহা ছাড়া গঙ্গাতীরবর্তী গরুটিতে, বৰ্দ্ধমানের সে সময়ের প্রধান অংশ নানাকায় (বৰ্ত্তমান কাঞ্চননগরে ) এবং সীতারামপুরের নিকটবৰ্ত্তী সামডিলালগঞ্জের বিস্তৃত কারবারে এবং তেজারিতিতে র্তাহার ২৫/৩০ লক্ষ টাকা খাটত । কমলাকান্তের দেউ